জাতীয়

নিরাপত্তায় থমকে গেছে ফুল ব্যবসা

‘প্রতিবছরই রাস্তা বন্ধ থাকে, তবে সকাল ১০টা পর্যন্ত টুকটাক রিকশা চলাচল করে। কিন্তু এইবার গতরাত ২টা থেকেই রাস্তায় রিকশা ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। খুচরা ব্যবসায়ীদের ফুল নিয়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে। মোবাইল ফোনে জানাজানি হওয়ায় বেচাকেনা ধপাস করে পড়ে গেছে।’

শনিবার সকাল ৭টায় শিশু পার্ক সংলগ্ন শাহবাগ পাইকারি ফুলের দোকানি আনিসুর রহমান ক্ষুব্ধ কণ্ঠে নিরাপত্তা জোরদারের কারণে ব্যবসায়ী বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল বলে এমন মন্তব্য করেন।

শুধু আনিসুর রহমান একাই নন, গভীর রাত থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় অন্য ফুল ব্যবসায়ীরাও হতাশ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শাহবাগের ফুলের আড়তে ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। অন্যান্য বছর এ সময় ক্রেতার চাপে ফুল ব্যবসায়ীরা কথা বলার ফুসরত না পেলেও আজ তাদের অলস সময় কাটাতে দেখা যায়।

গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ফুল কিনে নিয়ে যেতে এসেছিলেন শাহেদ নামের এক খুচরা ফুল ব্যবসায়ী। দুই বস্তা ফুল কিনে পায়ে হেঁটে বাংলামোটর যাচ্ছিলেন।

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘গত বছর সকাল ৭টায় ফুল কিনে রিকশায় নিয়ে যেতে পারেলেও আজ ফুলের বোঝা হাতে নিয়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে। আগে জানলে এতদূর থেকে ফুল কিনতে আসতাম না।’

ব্যবসায়ীরা ফুলের দাম পড়ে গেছে বললেও ক্রেতারা বলছেন, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দাম অনেক বেশি। অন্য সময় হেডব্যান্ড ফ্লাওয়ার ৫০ টাকায় কেনা গেলেও আজ ১শ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

এমইউ/বিএ/আরআইপি