যশোরে এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় মারফুল শেখ নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের মনিহার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক মারুফুল সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের আসাদ আলীর ছেলে। অপরদিকে, নরেন্দ্রপুর ফাঁড়ি পুলিশের বিরুদ্ধে ঘটনা ধামাচাপা চেষ্টার অভিযোগে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নাজমুল হাসানকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় গ্রামের মোড়ের দোকানে মশা নিধনের কয়েল কিনতে ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে যায় ওই কিশোরী। এ সময় মারফুল শেখ জোর করে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় সঙ্গে থাকা ছোট ভাই দৌঁড়ে বাড়ি গিয়ে বিষয়টি জানায়। তখন ওই কিশোরীর চাচা ও প্রতিবেশি জুয়েল, সুমন, মুকুলসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার ও মারফুলকে ধরে ফেলেন। ওই দিন রাতে তারা স্থানীয় নরেন্দ্রপুর ফাঁড়িতে গিয়ে এএসআই নাজমুল হাসান ও এসআই বিল্লালকে বিষয়টি জানায়। কিন্তু তারা মামলা নেয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন। এ সময় কোতয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আক্কাছ আলীকে ঘটনাটি জানানো হলে তিনিও মামলা নেয়া হবে না বলে জানান। পরের দিন ২৭ জুলাই সকালে নরেন্দ্রপুর ফাঁড়ির এসআই নাজমুল ভিকটিমের বাড়িতে যান। ফেরার পথে তিনি অভিযুক্ত মারফুলকে মোটরসাইকেলে করে তুলে আনেন। এরপর ভিকটিমকে নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রোবহান উদ্দিনের অফিসে তুলে আনা হয়। সেখানে ভিকটিমের বাবাকে পাঁচটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর করতে বলা হয়। তিনি সাদা কাগজে স্বাক্ষর করতে প্রথমে রাজি হননি। এ সময় তাদের দুই জনের বিয়ে দেয়ার নামে মিমাংসা করার জন্য জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়া হয়।এর তিনদিন বুধবার দুপুরে ভুক্তভোগীরা যশোরে এসে সাংবাদিকদের বিষয়টি অবহিত করেন। সাংবাদিকদের পরামর্শে তারা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হকের কাছে যান। তিনি বিষয়টি শুনে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। ওই রাতেই অভিযুক্ত তিনজনের নামে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার বিকালে ধর্ষককে আটক পুলিশ।মিলন রহমান/এআরএ/এমআরআই