চিনির ওপর একটি গান
মরিস সাহেব ছিলেন শান্তিনিকেতনে ইংরেজি ও ফরাসি ভাষার অধ্যাপক। একা থাকলে তিনি প্রায়ই গুনগুন করে গান গাইতেন। একদিন তিনি তৎকালীন ছাত্র প্রমথনাথ বিশীকে বললেন-
মরিস : গুরুদেব চিনির ওপর একটি গান লিখেছেন, গানটি বড়ই মিষ্টি।
বিশী : কোন গানটি?
মরিস : আমি চিনি গো চিনি তোমারে, ওগো বিদেশিনী, তুমি থাকো সিন্ধুপারে।
বিশী : তা চিনির গান তো মিষ্টি হবেই। কিন্তু এই ব্যাখ্যা আপনি কোথায় পেলেন?
মরিস : কেন, স্বয়ং গুরুদেবই আমাকে বলে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- আজকের জোকস : স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ওষুধ
****
গানের কলিতে কাশি
কবিগুরুর ৫০ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে শান্তিনিকেতনের একটি কক্ষে সভা বসেছিল। যেখানে তিনি স্বকণ্ঠে গান করছিলেন। তিনি গাইলেন, ‘এখনো তারে চোখে দেখিনি, শুধু কাশি শুনেছি।’ কবিগুরু এটা গেয়েছিলেন আচার্য যতীন্দ্রমোহন বাগচি ওই কক্ষে প্রবেশের একটু আগে।
বাগচি মহাশয় কক্ষে প্রবেশ করে বিস্ময়-বিস্ফারিত চোখে সবার দিকে তাকিয়ে রইলেন। সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত বললেন, ‘সিঁড়িতে তোমার কাশির শব্দ শুনেই গুরুদেব তোমাকে চিনেছেন’। বাগচি মহাশয় বললেন, ‘তাই তো তাঁর গানের কলিতে বাঁশির স্থলে কাশি বসিয়ে তাঁর গানটি গেয়েছেন।’
আরও পড়ুন- আজকের জোকস : বউয়ের সঙ্গে কথা হয় না
****
রবীন্দ্রনাথ কানে কম শোনেন
সাহিত্যিক ‘বনফুল’ তথা শ্রী বলাইচাঁদের এক ছোট ভাই বিশ্বভারতীতে অধ্যয়নের জন্য শান্তিনিকেতনে পৌঁছেই কার কাছ থেকে যেন জানলেন, রবীন্দ্রনাথ কানে একটু কম শোনেন।
এরপর রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দেখা করতে গেলে রবীন্দ্রনাথ যখন বললেন, ‘কী হে, তুমি কি বলাইয়ের ভাই কানাই নাকি?’ তখন বলাইয়ের ভাই চেঁচিয়ে জবাব দিলেন, ‘আজ্ঞে না, আমি অরবিন্দ।’
রবীন্দ্রনাথ তখন হেসে উঠে বললেন, ‘না কানাই নয়, এ যে দেখছি একেবারে শানাই।’
এসইউ/জেআইএম