শেরপুরে নব্য জেএমবি সদস্য আবুল কাশেম ওরফে আবু মোসাবের (২২) বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর বিস্ফোরক মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে।
বুধবার শেরপুরের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এ এই যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। ট্রাইব্যুনালের বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ নূর উভয়পক্ষের বক্তব্য যুক্তিতর্ক রেকর্ডের পর আগামী ২১ জুন বৃহস্পতিবার উভয়পক্ষের আইনগত ব্যাখ্যার জন্য তারিখ ধার্য করেন।
ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত পিপি অ্যাডভোকেট অরুণ কুমার সিংহ রায় বলেন, আজ (বুধবার) ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক হয়েছে। কাল (বৃহস্পতিবার) উভয় পক্ষের আইনগত ব্যাখ্যা শেষ হলে খুব শীঘ্রই তা রায়ের জন্য কার্যতালিকায় রাখা হবে।
ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে বড় ধরনের নাশকতার উদ্দেশ্যে শেরপুরের নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা বাজারে জঙ্গিদের বিস্ফোরক তৈরির রাসায়নিক পদার্থের মজুদ করে জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবি। ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবরে বিস্ফোরক তৈরির ওই গোডাউনের সন্ধান এবং সেখান থেকে নাইট্রিক এসিড, সালফারিক এসিড, ক্লোরোফর্ম ও ডাইক্লোমেথিনসহ বিস্ফোরক তৈরির প্রায় ৬শ লিটারের বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক তরল পদার্থ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ময়মনসিংহ বিভাগের ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে ওই ঘটনায় ৭ অক্টোবর নকলা থানায় গোডাউনের ভাড়াটে আবুল কাশেম (২২) ও ফয়েজ উদ্দিন (৩৩) এবং মালিক মিনারা বেগমসহ (৩২) স্বনামে ৩ জন ও অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজন জঙ্গিকে আসামি করে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৪/৫/৬ ধারায় একটি মামলা রেকর্ড হয়।
ওই মামলায় পর্যায়ক্রমে গ্রেফতার হয় প্রধান আসামি আবুল কাশেমসহ সকল আসামি। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আবুল কাশেম নিজেকে জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির সদস্য বলে দাবি করে এবং তার সাংগঠনিক নাম আবু মোসাব বলে জানায়। পরবর্তীতে আদালতে আবুল কাশেম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও চন্দ্রকোনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আমিনুর রহমান তদন্ত শেষে একই বছরের ২৮ ডিসেম্বর একমাত্র আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। চলতি বছরের ৮ মার্চ ওই মামলায় আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর বিচারিক পর্যায়ে সংবাদদাতা বাদি, ম্যাজিস্ট্রেট ও বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞসহ ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার যুক্তিতর্কের জন্য তাকে কড়া নিরাপত্তায় জেলা কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়।
হাকিম বাবুল/আরএ/জেআইএম