জামাআতে কিংবা একাকি নামাজ আদায়কারীর জন্য তাকবির দুই ধরনের। আর তা ফরজ ও সুন্নাত। যে তাকবিরের মাধ্যমে নামাজ শুরু করা হয় তাহলো তাকবিরে তাহরিমা। এ তাকবির ফরজ। কারণ, তাকবিরে তাহরিমার মাধ্যমে মানুষ নামাজে প্রবেশ করে।
তাকবিরবিহীন নামাজে দাঁড়ালে কিংবা শুরু করলে সে নামাজ হবে না। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেছেন-
হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘পবিত্রতা হল নামাজের চাবি। তাকবিরে তাহরিমা নামাজের বাহিরের সব কাজকে হারাম করে দেয় আর সালাম তা হালাল করে দেয়।’ (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, আবু দাউদ)
আর তাকবিরে তাহরিমা ছাড়া নামাজের মধ্যে যতবার তাকবির বলতে হয়, সব তাকবির বলা সুন্নাত। তবে কেউ যদি সুন্নাত তাকবির বলতে ভুলে যায়, তার নামাজ বাতিল হবে না। নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
মুসল্লিরাও এ সব তাকবির ইমামের সঙ্গে সঙ্গে বলবে। ইমামের তাকবির বলায় মুসল্লি চুপ থাকলে তাকবির বলা আদায় হবে না।
আরও পড়ুন > নির্ধারিত সময়ে নামাজ পড়তে না পারলে কী করবেন?
জামাআতে নামাজ পড়ার সময় ইমাম যা বলবেন ও করবেন মুসল্লিগণও তাই করবেন ও বলবেন। তবে ইমাম যখন কেরাত পাঠ করবেন, তখন মুসল্লিদের চুপ থাকতে হবে। তাই কেরাত ছাড়া সকল ক্ষেত্রে ইমামের মতই আমল করা উচিত।
তাই জামাআতে নামাজ আদায়কালে ইমাম উচ্চস্বরে তাকবির বলবেন, আর মুসল্লিরা তা শুনে আস্তে আস্তে তাকবির বলবেন। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয় ইমাম নিযুক্ত করা হয়েছে তার অনুসরণ করার জন্য। সুতরাং যখন ইমাম তাকবির বলে তখন তোমরাও তাকবির বলো। আর যখন কেরাত পড়ে তখন চুপ থাকো। ইমাম যখন তেলাওয়াত করে (সুরা ফাতেহায়) “ওয়ালাদদ্বাল্লিন” বলে। তখন তোমরা আমিন বলো।
আর যখন ইমাম রুকু করে তখন তোমরাও রুকু কর। আর যখন ইমাম সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলে তখন তোমরা বল রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ।’ (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ,নাসাঈ, মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জামাআতে হোক কিংবা একাকি নামাজ আদায় হোক তাকবিরে তাহরিমা বলার মাধ্যমে নামাজ শুরু করার তাওফিক দান করুন। অন্য তাকবিরগুলো যথাযথ বলে সুন্নাতের অনুসরণ ও অনুকরণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম