আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, ১৫ আগস্ট না হলে, জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হতে পারতেন না। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন না। জাতির শোকের দিনে বেগম জিয়া পাতানো জন্মদিন পালন করে আনন্দ-উল্লাস করেন। যা তিনি তার জন্মদিনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বিসিআইসি মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস-২০১৫ উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।আমির হোসেন আমু বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে হত্যা করে বাংলাদেশে পাকিস্তানি বিজাতীয় ভাবধারা চালুর উদ্দেশেই একাত্তরের পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড কোনো ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড নয়, এটি ছিল দেশকে নব্য পাকিস্তান বানানোর একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পরে জাতীয় চার নেতা হত্যা, সংবিধান থেকে জাতীয় চার মূলনীতি ছেঁটে ফেলা, গোলাম আজমকে রাজনীতির সুযোগ দান, বেতারের নাম বদলিয়ে রেডিও বাংলাদেশ করাসহ ষড়যন্ত্রকারীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ধারাবাহিক কর্মকাণ্ড এর প্রমাণ।তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যা দিবসে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কেক কেটে জন্মদিন পালন করে উল্লাস করেন। খালেদা জিয়ার তিনটি জন্ম তারিখ। বাকি দুই দিন কেক না কেটে ১৫ আগস্ট কেক কাটায় প্রমাণ করে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিল।শিল্প সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূইঁয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুষেণ চন্দ্র দাস, বিসিক চেয়ারম্যান আহমদ হোসেন খান, বিসিআইসির চেয়ারম্যান মো. ইকবাল ও বিসিআইসি কর্মচারি লীগের সভাপতি শেখ নুরুল হাদি প্রমুখ।এএসএস/আরএস/পিআর