একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে সমর্থন জানিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস-এমএন লারমা)।
রোববার খাগড়াছড়ি শহরের পানখাইয়াপাড়া মারমা উন্নয়ন সংসদ মিলনায়তনে জেএসএসের (এমএন লারমা) রাজনীতি বিষয়ক সম্পাদক বিভূ রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে হেডম্যান কার্বারীদের সঙ্গে আলোচনা সভায় সংগঠনের শীর্ষ নেতারা নৌকার পক্ষে সমর্থন জানান।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘ দুই দশকেও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি। কিন্তু জনসংহতি সমিতি আশা করে সরকারই চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে সামনের সময়ে আন্তরিকভাবে কাজ করবে। তাই চুক্তি স্বাক্ষরকারী দল হিসেবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বা নৌকাকে বিজয়ী করতে কাজ করবে।
এ সময় সন্তু লারমার সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, শান্তিচুক্তির ২১ বছর পরে পাহাড়ে আবারও সশস্ত্র আন্দোলন গড়ে তোলার সুযোগ নেই। আমরা প্রত্যাশা করি বর্তমান সরকারই পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করবে। এ কারণে জনসংহতি সমিতি এবার খাগড়াছড়ি আসনে কোনো প্রার্থী না দিয়ে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষেই কাজ করবে।
এ সময় চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে বিজয়ী করতে হেডম্যান ও কার্বারীদের সহযোগিতা কামনা করেন বক্তারা। আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিমল কান্তি চাকমা, কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক সুদর্শন চাকমা, কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক সম্পাদক প্রণব চাকমা অংশুমান, যুব বিষয়ক সহসম্পাদক প্রীতিময় চাকমা, জেলা সাধারণ সম্পাদক সিন্ধু কুমার চাকমা এবং খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রণিক কুমার ত্রিপুরা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক সুদর্শন চাকমা বলেন, ইউপিডিএফ এবার সিংহ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তাদের হিংস্র মানসিকতার সঙ্গে প্রতীকের মিল রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি ভাঙনে এবং চলমান সংঘাতের জন্য ইউপিডিএফ দায়ী। তাদের সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে প্রত্যাখ্যান করার সময় এসেছে।
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এফএ/জেআইএম