দেশজুড়ে

হামলায় মাথা ফাটল মঈন খানের সহকারীর

নরসিংদী-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের নির্বাচনী প্রচারণায় পুলিশি বাধার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

সোমবার দুপুরে জিনারদী ইউনিয়নের পারুলিয়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে মঈন খান ও তার ব্যক্তিগত সহকারী বাহাউদ্দিন ভূঁইয়া মিল্টন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ভাস্কর দেবনাথের কার্যালয়ে আশ্রয় নিতে যান। এ সময় মিল্টনের ওপর হামলা চালায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হামলায় তার মাথা ফেটে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির প্রার্থী আবদুল মঈন খান উপজেলার পারুলিয়া মোড়ে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এ সময় তার প্রচারণায় প্রায় ২০০-৩০০ নেতাকর্মী যুক্ত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এ ঘটনায় মঈন খান ও তার ব্যক্তিগত সহকারী মিল্টন নরসিংদী-২ পলাশ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ভাস্কর দেবনাথের কার্যালয়ে যান। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের বাইরে অবস্থান নিলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিল্টনের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পলাশ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, বিএনপি প্রার্থীর প্রধারণায় পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে। এ বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিতে গেলে সেখানে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে মঈন খানের ব্যাক্তিগত সহকারী মিল্টনের মাথা ফেটে যায়।

বিএনপির প্রচারণায় বাধা দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে পলাশ থানা পুলিশের ওসি মকবুল হোসেন বলেন, বিএনপির প্রার্থী আবদুল মঈন খান শতাধিক লোকজন নিয়ে শোডাউন করার সময় যানযট ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। পরে তাকে বিষয়টি বুঝিয়ে বললে নেতাকর্মীদের নিয়ে চলে যান তিনি। পরে ইউএনওর কার্যালয়ে গেলে মঈন খানের পিএসের ওপর হামলা হয়। তবে কে বা কারা হামলা চালিয়েছে তা আমরা জানি না।

সঞ্জিত সাহা/এএম/এমএস