যশোরের মণিরামপুরে ইতি খাতুন নামে এক গৃহবধূকে অপহরণের পর খুন করে মরদেহ গুমের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। ওই গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে সোমবার যশোরের মণিরামপুর আমলি আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। এতে তার স্বামীসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
আমলি আদালতের বিচারক নুসরাত জাবীন নিম্মী মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোরকে তদন্তপূর্বক আগামী ১৬ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন- মণিরামপুর উপজেলার শয়লা গ্রামের আজিজুর রহমান, তার স্ত্রী ফরিদা রহমান, ভাই সাইফুল ইসলাম, ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন, একই এলাকার আব্দুল খালেক ও মাসুদুর রহমান।
মামলার বাদী মণিরামপুরের মোবারকপুরের আতিয়ার রহমান কাগজী মামলায় উল্লেখ করেছেন, তার মেয়ে ইতি খাতুনকে আড়াই বছর আগে তিনি আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে আসামিদের চাপের মুখে জামাই আব্দুল্লাহ আল মামুনকে যৌতুক বাবদ নগদ এক লাখ টাকা এবং আরও এক লাখ টাকার জিনিসপত্র দেয়া হয়েছে। এরপর ইতি খাতুনের কাছে স্বামীসহ পরিবারের অন্যরা আবারও ৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে।
গত ২৬ ডিসেম্বর বিকেল ৫টার দিকে আসামিদের দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় স্বামীর বাড়ি থেকে আসামিরা তাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে খুন করে লাশ গুম করে ফেলেছে। ঘটনার পর বাদীসহ তার আত্মীয় স্বজনরা বিভিন্নস্থানে খুঁজেও ইতির কোনো সন্ধান পায়নি। একপর্যায়ে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য থানায় যান তিনি। আসামিদের তদবিরের কারণে থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এ কারণে সোমবার আদালতে মামলা করা হয়েছে।
মিলন রহমান/আরএআর/এমএস