সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে মাসরুর আরেফিনের নিয়োগে অনাপত্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সোমবার সিটি ব্যাংক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
মাসরুর আরেফিন ব্যাংকটির সদ্য পদত্যাগ করা এমডি সোহেল আর কে হুসেইনের স্থলাভিষিক্ত হলেন। এর আগে ব্যাংকের উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে এমডির পদ থেকে সোহেল আর কে হুসেইন পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হন।
জানা গেছে, আর কে হুসেইন ২০১৩ সালের নভেম্বর থেকে সিটি ব্যাংকের এমডির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। চলতি বছরের নভেম্বরে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার নয় মাস আগেই গত ১৩ জানুয়ারি (রোববার) হঠাৎ করেই তিনি এক মাসের ছুটিতে যান। এরপর ১৬ জানুয়ারি (বুধবার) পদত্যাগ করেন।
তার পদত্যাগের পরই ব্যাংকটির অতিরিক্তি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিনকে নতুন এমডি নিয়োগ দেয় পরিচালনা পর্ষদ। এরপর নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের জন্য চিঠি পাঠানো হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে অনাপত্তি দিয়েছে বলে ব্যাংকটির পক্ষ জানানো হয়।
মাসরুর আরেফিন ২০০৭ সালে রিটেইল ব্যাংকিংয়ের প্রধান হিসেবে সিটি ব্যাংকে যোগদান করেন। তিনি এ ব্যাংকের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা হিসেবেও কাজ করেন। বর্তমানে তিনি ব্যাংকের মালয়েশিয়ার সাবসিডিয়ারি রেমিট্যান্স প্রতিষ্ঠান এবং মার্চেন্ট ব্যাংক সাবসিডিয়ারির পরিচালক হিসেবে নিয়োজিত আছেন।
বরিশাল ক্যাডেট কলেজের সাবেক ছাত্র মাসরুর আরেফিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ এবং মেলবোর্নের ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ করেন। উচ্চতর ব্যবস্থাপনায় কোর্স করেছেন। ব্যাংকিং পেশার পাশাপাশি সাহিত্য জগতেও তিনি সমাদৃত। তার অনূদিত 'ফ্রানৎস কাফকা গল্পসমগ্র' ২০১৩ সালের 'ব্র্যাক সমকাল সাহিত্য পুরস্কার' ও বাংলা একাডেমির 'বছরের সেরা প্রকাশনা' পদক অর্জন করে। ২০১৫ সালে তার অনূদিত 'হোমারের ইলিয়াড'ও পাঠকমহলে প্রশংসিত হয়
মাসরুর আরেফিন ১৯৯৫ সালে এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড কাতার, আমেরিকান এক্সপ্রেস, সিটি ব্যাংক এনএ এবং ইস্টার্ন ব্যাংকে কাজ করেছেন। বাংলাদেশে আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড চালুর ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ছিল।
এসআই/বিএ