দেশজুড়ে

জিয়াউল হককে ৭ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

শেরপুরের শ্রীবরদী থানা পুলিশের দুই এএসআইকে মারধরের ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউল হক জেনারেলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

পুলিশের ওপর হামলা মামলায় জিয়াউল হককে গ্রেফতার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার দুপুরে সাত দিনের রিমান্ড আবেদনসহ বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হয়।

শ্রীবরদী থানা সূত্রে জানা যায়, রোববার রাতে শ্রীবরদী শহরের চৌরাস্তা মোড়ে পুলিশের এএসআই আব্দুল হান্নান ও মো. রফিকুল ইসলামকে মারধরের ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউল হক জেনারেলসহ ১২ জনকে সুনির্দিষ্ট এবং অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলায় পুলিশের ওপর হামলার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। আহত পুলিশের এএসআই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রতিদিন শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে ১০-১৫ জন বখাটে যুবক নানা ধরনের নেশা করত। এ নিয়ে চিকিৎসকরা থানায় অভিযোগ দেয়। রোববার বিকেলে ওসির নির্দেশে শ্রীবরদী থানা পুলিশের দুই এএসআই আব্দুল হান্নান ও মো. রফিকুল ইসলাম হাসপাতালের ভেতর থেকে কয়েকজনকে ডেকে নিয়ে আসে। পরে ওসি রহুল আমিন জিজ্ঞাসাবাদ করে ভবিষ্যতে হাসপাতালের ভেতর না যাওয়ার জন্য তাদের নির্দেশ দিয়ে ছেড়ে দেন।

এ ঘটনার জের ধরে রাত সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশের এএসআই আব্দুল হান্নান ও মো. রফিকুল ইসলাম শ্রীবরদী বাজারের চৌরাস্তা মোড়ে কর্তব্য পালন করতে গেলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় তাদের মারধর করা হয় এবং মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া হয়।

শ্রীবরদী থানা পুলিশেল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রহুল আমিন তালুকদার বলেন, দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের ওপর হামলায় দুইজন এএসআই আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা জিয়াউল হক জেনারেলের সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানি হবে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানান ওসি।

হাকিম বাবুল/এএম/এমকেএইচ