ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে নিয়ে অনেক তরুণ নিজের ভাগ্য বদলেছেন। কিন্তু এ পেশার সামাজিক স্বীকৃতি নেই এখনও। সেরকম এক তরুণের গল্প নিয়ে প্রকাশিত হচ্ছে রাহিতুল ইসলামের উপন্যাস ‘আউটসোর্সিং ও ভালোবাসার গল্প’।
প্রথাগত চাকরির পেছনে না ছুটে স্বাবলম্বী হওয়ার কাহিনি উঠে এসেছে এই উপন্যাসে। তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক সাংবাদিক হিসেবে লেখক খুব কাছ থেকে এই পেশার চ্যালেঞ্জগুলো দেখেছেন। এই পেশার প্রতিকূলতা, সুযোগ, উদ্যোক্তা হওয়ার গল্পের সঙ্গে মানবিক প্রেমের আখ্যান মিলিয়ে এটি একটি অনবদ্য রচনা।
প্রধাণত এই পেশার সামাজিক স্বীকৃতি নিয়েই আবর্তিত হয়েছে এর গল্প। শূন্য থেকে শুরু করা এক তরুণ কীভাবে এ পেশার আদর্শ হয়ে ওঠে, সেই দৃশ্যই আঁকেন লেখক। গল্পের নায়ক মাহাবুবের জীবন-সংগ্রামের পাশাপাশি তার প্রেমের এক অন্তরঙ্গ বয়ান এ উপন্যাস। সরকারি, বেসরকারি যেকোনো চাকরির চেয়ে আউটসোর্সিং পেশা হিসেবে ভালো। নিজের অনেকটা স্বাধীনতা রয়েছে। উপন্যাসটি কোনো কাল্পনিক গল্প নয়। এটি মাহাবুব নামের একজন ফ্রিল্যান্সারের জীবন থেকে নেয়া। ভালোবাসার কাজ আর ভালোবাসার মানুষ নিয়ে এক অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্প।
রাহিতুল ইসলামের উপন্যাসের নায়ক ও নায়িকার শেষ পরিণতি কী হবে? নায়িকার পরিবার কি একজন ফ্রিল্যান্সারের হাতে মেয়েকে তুলে দেবে? নাকি সমাজের চাপে পেশা বদল করতে হবে মাহাবুবকে? অথবা সব ছাপিয়ে জয় হবে প্রেমের, ভালোবাসার...?
উপন্যাসটি প্রকাশ করছে সিঁড়ি প্রকাশন। প্রচ্ছদ করেছেন নিয়াজ চৌধুরী তুলি। মেলায় ৫৯৭ স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।
এএ