দেশজুড়ে

নরসিংদী সরকারি কলেজের কার্যক্রম ৩ দিন বন্ধের ঘোষণা

নরসিংদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. আনোয়ারুল ইসলামকে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জেলা ছাত্রলীগ ও শিক্ষক পরিষদ।

রোববার দুপুর ১২টার দিকে নরসিংদী সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন থেকে তিনদিনের জন্য কলেজে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- নরসিংদী জেলা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাধারণ সম্পাদক পুলক কুমার সাহা, নরসিংদী সরকারি কলেজের সাবেক জিএস এসএম কাইয়ূম, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আহসানউল ইসলাম রিমন ও নরসিংদী শহর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শফিউল ইসলাম প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, নরসিংদী সরকারি কলেজ একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে ছাত্র এবং শিক্ষকদের মধ্যে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ছাত্রের কারণে এই সুনাম নষ্ট হচ্ছে। কলেজে ছাত্র রাজনীতির একটি চমৎকার পরিবেশ বিরাজমান। তবে অধ্যক্ষকে যেভাবে অফিস কক্ষে ঢুকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রকৃত পক্ষে এখানে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নয়। আর যদি কেউ জড়িত থাকে তাহলে আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই তাদের যেন আইনের আওতায় এনে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার করে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

বক্তারা আরও বলেন, অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলামের ওপর হামলা ও মামলার প্রতিবাদে পাবলিক পরীক্ষা ব্যতীত আগামী ২৪, ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি কলেজের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে শিক্ষকরা পরবর্তীতে অতিরিক্ত ক্লাসের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের এ ক্ষতি পুষিয়ে দেবেন।

প্রসঙ্গত, অধ্যক্ষ ড. আনোয়ারুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে আন্দোলনে নামে ছাত্রলীগের নেতৃত্বাধীন সাধারণ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। কলেজে উপস্থিত থাকলে অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত সম্ভব নয় এই যুক্ততে অধ্যক্ষকে কলেজে যেতে নিষেধ করে ছাত্রলীগ। এরপর থেকে নিরাপত্তাহীনতার কারণে অধ্যক্ষ আর কলেজে যেতে পারেননি।

গত ২১ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম হিরুর উপস্থিতিতে তিনি কলেজের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরই মধ্যে স্থানীয় এমপি অধ্যক্ষকে কলেজে এসে কলেজ পরিচালনার নির্দেশ দিলে শনিবার সকালে তিনি কলেজ আসেন। শনিবার দুপুরে একদল দুর্বৃত্ত মুখোশ পরে অধ্যক্ষের কক্ষে ঢুকে ময়লা পানি ছুড়ে মারে। ওই সময় চেয়ার ও গ্লাস অধ্যক্ষের ওপর ছুড়ে মারা হয়। এতে কপালে আঘাত পান অধ্যক্ষ।

সঞ্জিত সাহা/এএম/পিআর