নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিদের ওপর সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা হামলা করে ৪৯ জনকে হত্যা এবং কমপক্ষে ৪০ জনকে আহত করেছে। আহতদের মধ্যে একজন চার বছরের শিশু রয়েছে। এদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ ঘটনার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডান দিনটিকে কালোদিন হিসেবে ঘোষণা করে নিরাপত্তা জোরদারসহ সতর্কতা জারি করেছেন। শুক্রবার জুমার নামাজের পরপর দেশটির সকল মসজিদে পুলিশ পাহারা ও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন >> শোকের শহর ক্রাইস্টচার্চে মুসলিমদের কান্না
ঘটনার দুইদিন হলেও হতাহতদের সবার নাম-পরিচয় ও ঠিকানা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশ জানিয়েছে, আগামীকাল রোববারের মধ্যে সবার নাম-পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
শান্ত ছবির মতো সুন্দর শহর ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার পর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ৪৯ জন নিরীহ মানুষের প্রাণহানির পর পুরো শহর যেন কালো স্কার্ফ দিয়ে মোড়ানো। শোক প্রকাশের ভাষাও অনেকের জানা নেই।
আরও পড়ুন >> খ্রিস্টান জঙ্গির মসজিদে হামলার নেপথ্যে মুসলিম বিদ্বেষ
দেশটিতে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ ও প্রবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশেষ করে মুসলিম জনগোষ্ঠীর মাঝে বেশি করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এতে করে তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি নানাবিধ কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা হয়ে গেছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও প্রতিষ্ঠানে পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন >> নিউজিল্যান্ডে হামলায় দুই বাংলাদেশি নিহত : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ ফুল দিয়ে হতাহতদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। এছাড়া হতাহতদের সাহায্যার্থে একটি ওয়েব অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে অ্যাকাউন্টে প্রায় ১৫ লাখ ডলার জমা হয়েছে।
এদিকে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার ঘটনায় মোট ১০ বাংলাদেশি হতাহতের কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। এর মধ্যে দুইজন নিহত, পাঁচজন আহত ও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।
বিএ/জেআইএম