নরসিংদীর রায়পুরায় একই পরিবারের চারজন আগুনে দগ্ধের ঘটনায় ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধাবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও চারজনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রায়পুরা থানায় মামলা দায়ের করেন রত্না আক্তার নামে এক নারী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রায়পুরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কবির।
প্রতিবেশী রবিনকে মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- শিপন, মামুন, কাজল, লোকমান ও অজ্ঞাতনামা আরও দুইজন। এদের মধ্যে রবিন ও মামুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দগ্ধদের মধ্যে রয়েছেন একই পরিবারের তিন বোন। তারা হলেন- উপজেলার লোচনপুর গ্রামের সামসুল মিয়ার মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী প্রীতি আক্তার (১১), এসএসসি পরীক্ষার্থী মুক্তামণি (১৬), অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুইটি আক্তার (১৩)। দগ্ধ অন্যজন তাদের ফুফু খাতুন্নেছা (৬০)।
স্থানীয়রা জানায়, জমি-সক্রান্ত বিরোধ নিয়ে লোচনপুর গ্রামের দুলাল মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের মৃত শামসুল মিয়ার ছেলে বিপ্লবের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে দুপক্ষের দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের দুলাল মিয়া খুন হন। এরপর থেকে বিপ্লবদের গোটা পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। বিপ্লব একাধিক মামলার আসামি হওয়ায় পলাতক। বিপ্লব মিয়ার পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা না থাকায় সোমবার ফুফুকে নিয়ে বিপ্লবের তিন বোন বাড়ি আসেন। ওইদিন প্রতিপক্ষের আগুনে পোড়া আগের একটি ঘরে রাতযাপন করেন ফুফুসহ চারজন। ভোররাতে ঘরের চার পাশে আগুন ধরে। এতে অগ্নিদগ্ধ হন বিপ্লবের তিন বোন ও ফুফু। আহতদের প্রথমে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্নও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
রায়পুরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কবির বলেন, দগ্ধদের বড় বোন বাদী হয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা দুইজনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সঞ্জিত সাহা/আরএআর/এমকেএইচ