জাতীয়

ফখরুলের চিঠি কোথায়, আমিও খুঁজছি : স্পিকার

অসুস্থতাজনিত কারণে পরে শপথ নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চিঠি দিয়েছেন বলে বিএনপি সূত্র উদ্বৃত করে সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে।

Advertisement

মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএনপি মহাসচিবের এ সংক্রান্ত কোনো অফিসিয়ালি চিঠি স্পিকারের দফতরে পৌঁছায়নি। সংসদে তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন স্পিকার।

সাংবাদিকদের কৌতুহলের জবাব দিতে গিয়ে হাসিমুখে তিনি জানান, কোথায় চিঠি, আমিও খুঁজছি। আপনারা এ বিষয়ে উনাকে জিজ্ঞাসা করেন।

সাংবাদিকরা এ সময় বলেন, বিএনপি মহাসচিব নিজেই আজ বলেছেন তিনি চিঠি দেননি। উনি শপথ নেবেন না। এটাও নাকি দলেরও সিদ্ধান্ত। সেক্ষেত্রে শপথ নেয়ার নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় ফখরুলের আসন কি শূন্য হয়ে গেল? এ বিষয়ে স্পিকার বলেন, সে কথা তো আমি বলিনি। এ বিষয়ে সংবিধান অনুযায়ী যে ব্যবস্থা আছে, সেটা হবে।

Advertisement

কোন নির্বাচিত সদস্য বা দলের পক্ষ থেকে যদি আবেদন করা হয়ে থাকে, তা গৃহীত হবে কি-না জানতে চাইলে স্পিকার বলেন, যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেউ আবেদন করে থাকেন, তাহলে পরেও শপথ নিতে পারবেন তিনি।

আপনি তো বলেছেন, আপনি চিঠি খুঁজছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে স্পিকার বলেন, চিঠি আমার দফতরে এখনও এসে পৌঁছায়নি। তবে সেই চিঠি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংসদ ভবনের কোথাও রিসিভ হয়ে থাকলে, তাহলেই হলো।

গতকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফখরুল বাদে বিএনপি থেকে নির্বাচিত আরও চার সংসদ সদস্য শপথগ্রহণ করেন। শপথ নেয়া চারজন হলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুনুর রশীদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া এবং বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন।

সোমবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাদের শপথ বাক্যপাঠ করান। এর আগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন তারা।

Advertisement

এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে বিএনপি শপথ না নেয়ার ঘোষণা দিলেও গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপির সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান জাহিদ শপথগ্রহণ করেন। পরে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট ও মিত্ররা। মাত্র ৮টি আসন পায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। নির্বাচিত আটজনের মধ্যে ছয়জন বিএনপির আর দু’জন গণফোরামের। তবে নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে তা প্রত্যাখ্যান করে ঐক্যফ্রন্ট।

গণফোরামের দুই সংসদ সদস্যের মধ্যে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে বিএনপির প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত সুলতান মোহাম্মদ মনসুর গত ৭ মার্চ শপথ নিয়ে সংসদে যোগ দেন। সিলেট-২ আসন থেকে গণফোরামের প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত মোকাব্বির খানও গত ২ এপ্রিল শপথ নেন।

সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন জাহিদুর রহমান। এ কারণে শনিবার রাতে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ওই বহিষ্কারাদেশের মাধ্যমে সংসদে যোগ দেয়ার বিষয়ে দলটি তাদের অবস্থান পরিষ্কার করে।

বিএনপির বিজয়ী প্রার্থী হিসেবে এখন শপথ নিতে বাকি রয়েছেন একমাত্র দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এমইউএইচ/জেএইচ/এমকেএইচ