বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতার পরিচয় দিল শ্রীলঙ্কা। কার্ডিফে প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বোলিং তোপে ১৩৬ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। এবার তারা ঘায়েল হলো অপেক্ষাকৃত দুর্বল আফগানিস্তানের কাছেও।
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে এক দফা খেলা বন্ধ থাকার পর ওভার কমিয়ে দেয়া হয়। তবে বৃষ্টির আগেই কাজের কাজ সেরে নিয়েছিল আফগানরা। ৩৩ ওভারে যখন খেলা বন্ধ হয়, ৮ উইকেটে শ্রীলঙ্কা তখন ১৮২ রানে। পরে দ্বিতীয়বার খেলা শুরু হলে ৪১ ওভার করা হয়। তারপরও পুরো ওভার খেলতে পারেনি লঙ্কানরা। ৩৬.৫ ওভারে তাদের ইনিংস থেমেছে ২০১ রানেই।
ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে আফগানিস্তানের লক্ষ্য কমিয়ে দেয়া হয়েছে। জয়ের জন্য ৪১ ওভারে তাদের করতে হবে ১৮৭ রান।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত ছিল শ্রীলঙ্কার। দিমুথ করুনারত্নে আর কুশল পেরেরা উদ্বোধনী জুটিতে তুলেন ৯২ রান। করুনারত্নে ৩০ রান করে ফিরলেও ২১ ওভারেই ১ উইকেটে ১৪৪ রান তুলে ফেলেছিল শ্রীলঙ্কা। রানরেট বেশ ভালো ছিল। বড় সংগ্রহের পথেই এগোচ্ছে দল, ধরেই নিয়েছিলেন লঙ্কান সমর্থকরা।
কিন্তু ২২তম ওভারে এসে চমক দেখালেন মোহাম্মদ নবী। ওভারের দ্বিতীয় বলে সেট ব্যাটসম্যান লাহিরু থিরিমান্নেকে (২৫) ইনসাইড এজে বোল্ড করেন। চতুর্থ বলে কুশল মেন্ডিসকে (২) স্লিপে বানান ক্যাচ। এক বল বিরতি দিয়ে ওভারের শেষ ডেলিভারিতে একইভাবে স্লিপে ক্যাচ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ (০)।
১ উইকেটে ১৪৪ রান তোলা শ্রীলঙ্কা পরিণত হয় ৪ উইকেটে ১৪৬ রানে। ২ রানেই হারায় ৩ উইকেট। লঙ্কানদের সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠার সুযোগ না দিয়ে পরের ওভারে আঘাত হানেন পেসার হামিদ হাসান। এবার উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ শাহজাদের ক্যাচ ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, রানের খাতা খোলার আগেই।
এমন পরিস্থিতিতে বোকার মত রানআউট হন থিসারা পেরেরা (২)। ১০ রান করে দৌলত জাদরানের বলে বোল্ড হন ইসুরু উদানা। শেষ পর্যন্ত ধৈর্য্য ধরে রাখতে পারেননি কুশল পেরেরাও। লঙ্কান এই ওপেনারের ৮১ বলে ৮ বাউন্ডারিতে গড়া ৭৮ রানের ঝকঝকে ইনিংসটি থামে রশিদ খানের বলে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ শাহজাদের ক্যাচ হয়ে।
শেষ ২ উইকেটে আর ২১ রান যোগ করতে পেরেছে লঙ্কানরা। অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন ১৩ বলে ১৫ রান করা সুরাঙ্গা লাকমল।
আফগানিস্তানের পক্ষে ৩০ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন মোহাম্মদ নবী। ২টি করে উইকেট শিকার রশিদ খান আর দৌলত জাদরানের।
এমএমআর/এমএস