দেশজুড়ে

সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

সিরাজগঞ্জে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। বর্তমানে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি অনেকটাই উন্নতির দিকে যাচ্ছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ ফুলজোড়, করতোয়া ও হুড়াসাগর নদীর পানি প্রবাহও কমে গেছে।

Advertisement

বুধবার সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ১৩.৩১ মিটার (ডেঞ্জার লেভেল- ১৩.৩৫ মিটার)। যা বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে কাজিপুর পয়েন্টে এখনও বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম রফিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে এলাকায় ২৮ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কাজিপুর পয়েন্টে পানি প্রবাহ কমলেও এখনও বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা যায়, বন্যায় সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, শাহজাদপুর, বেলকুচি ও চৌহালী উপজেলার ৩৬টি ইউনিয়নের দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে ৩৫৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই পেয়েছে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার বন্যার্ত মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৪টি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও ৫৫ হাজার ৭২৪টি পরিবার। এদের মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ৯৫৯টি। ১ হাজার ৩৪৭টি বাড়িঘর সম্পূর্ণ এবং ২৭ হাজার ৬৩৩টি বাড়িঘরের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। ১৬৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে আরও ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

Advertisement

এছাড়া জেলার প্রায় ৭ হাজার ৫৪১ হেক্টর জমির পাট, রোপা আমন, আউশ ও সবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।

ইউসুফ দেওয়ান রাজু/এমবিআর/এমএস