সিলেট মহানগর যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন আলম খান মুক্তি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মুশফিক জায়গীরদার। মুক্তি সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক এবং মুশফিক প্রথম যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে আলম খান মুক্তি ৩৭০ ভোট এবং মুশফিক ৩৬৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ও মহানগর শাখার সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান।
শনিবার (২৭ জুলাই) রাত পৌনে ১২টায় সিলেট নগরের রিকাবীবাজারের কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
এদিকে সভাপতি পদে বাকি প্রার্থীরা শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে দাঁড়ালে, আলম খান মুক্তির একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ছিলেন শান্ত দেব। তিনি পেয়েছেন ১২৮ ভোট। এছাড়া নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গীরদারের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এম রায়হান উদ্দিন পেয়েছেন মাত্র ১৮ ভোট।
মহানগর যুবলীগের সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আহ্বায়ক আলম খান মুক্তি, শান্ত দেব ও সুবেদার মুন্না। এদের মধ্যে শেষ মূহূর্তে সুবেদার মুন্না প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।
সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী ছিলেন মুশফিক জায়গীরদার, রায়হান চৌধুরী, আব্দুল লতিফ রিপন ও কলিন্স সিংহ। এ পদে কলিন্স সিংহ ভোটগ্রহণের আগে সরে দাঁড়ান।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন উদ্বোধন করেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সিলেট-১ আসনের সাংসদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
সিলেট মহানগর যুবলীগের কাউন্সিলে সভাপতি পদে মুক্তি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মুশফিক নির্বাচিত হওয়ায় তাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।
এক অভিনন্দন বার্তায় মন্ত্রী বলেন, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সিলেট মহানগর যুবলীগের সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে, যা সত্যি প্রশংসনীয়। আরও আনন্দের ব্যাপার হচ্ছে যে, কাউন্সিলররা প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে তাদের পছন্দের নেতা নির্বাচিত করতে পেরেছেন। যা দলের ভেতরে গণতন্ত্রের চর্চাকে আরও প্রশংসিত ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
ছামির মাহমুদ/এমএসএইচ