শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, অতি ধার্মিক লোকদের প্রতি নজর রাখতে হবে। যাতে করে এর নেপথ্যে যেন কোনো অপশক্তি গড়ে উঠতে না পারে। কারণ ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে উগ্রবাদীরা দেশে বিশৃঙ্খলা ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে। হোলি আর্টিসানের হামলা তারই প্রমাণ। তাই দেশের উন্নয়নকে যারা বাধাগ্রস্ত করবে তারা দেশের শত্রু। তাই প্রশাসনকে তাদের প্রতি নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
নেতাকর্মীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, দলের মধ্যে কোনো বিভাজন মেনে নেয়া হবে না। ব্যক্তিগত স্বার্থে একে অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি করলে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে, উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। তাই গ্রুপিংয়ের কারণে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হলে কারো ক্ষমা থাকবে না।
শুক্রবার দুপুরে নরসিংদী জেলা পরিষদের উদ্যোগে বেলাব উপজেলার উয়ারী-বটেশ্বর পশ্চিমপাড়া গ্রামে প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রাহক হানিফ পাঠানের বাড়ির কাছে ‘গঙ্গাঋদ্ধি জাদুঘর’ নামে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরের নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, উয়ারী বটেশ্বর এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ ইতিহাসের ধারক। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয় এই অঞ্চল বহু বছর আগে থেকেই ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য সমৃদ্ধ ছিল। সেই উজ্জ্বল ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরবে গঙ্গাঋদ্ধি জাদুঘর। এ থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পে উৎসাহিত হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। বাস্তবায়িত হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ। যা বাস্তবায়ন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহাপরিকল্পনা ডেল্টা প্লান হাতে নিয়েছেন।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ভুঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, নরসিংদী-২ আসনের এমপি আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলিপ, ৩ আসনের এমপি জহিরুল হক ভূঞা মোহন, ঐতিহ্য অন্বেষণের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. নূহ-উল-আলম লেলিন, পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দাস, জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ারুল নাসের ও নরসিংদীর পৌর মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, প্রায় ৭ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে গঙ্গাঋদ্ধি নামের এই জাদুঘরটি নরসিংদী জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হবে।
সঞ্জিত সাহা/এমএমজেড/এমএস