পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় পাথর শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে জুমার উদ্দিন (৬০) নামে এক পাথর শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৮ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। রোববার সকালে তেঁতুলিয়া-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কের ভোজনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, তেঁতুলিয়া উপজেলার ভোজনপুর এলাকার পাথর শ্রমিকরা অবৈধভাবে ভূগর্ভস্থ পাথর উত্তোলনের দাবিতে রোববার সকালে মহাসড়ক অবরোধ করে। পুলিশ যান চলাচল স্বাভাবিক করতে গেলে পাথর শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে।
এক পর্যায়ে পুলিশের ওপর পাথর নিক্ষেপসহ পুলিশের চারটি গাড়ি ভাঙচুর করে শ্রমিকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় ৮ পুলিশসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে জুমার উদ্দিন নামে এক পাথর শ্রমিক মারা যান।
আহতদের পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিন পাথর শ্রমিককে গুরুতর আহতাবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। চার ঘণ্টা অবরোধের পর দুপুর আড়াইটায় যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সিরাজ উদ্দৌলা পলিন বলেন, আহত অবস্থায় পুলিশসহ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন হাসপাতালে নেয়ার পূর্বেই মারা গেছে। তিনি কীভাবে মারা গেছেন সেটা তাৎক্ষণিক বলা মুশকিল। অন্যদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, শ্রমিকরা অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের অন্যায় দাবিতে সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ও পাথর ছুড়ে। তারা আমাদের গাড়িও ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল ছুড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
সফিকুল আলম/এমএএস/এমকেএইচ