লাইফস্টাইল

বিয়ের পরে প্রথম ভালোবাসা দিবস? উদযাপন করুন এভাবে

ভালোবাসা দিবস নিয়ে আগ্রহ-উৎসাহ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় অবিবাহিত জুটিদের মধ্যে। অনেকে বিয়ের পরে আসলে বুঝতে পারেন না, এখনও কি তাদের ভালোবাসা দিবস উদযাপন করা উচিত, নাকি প্রয়োজন নেই? আসলে ভালোবাসার প্রয়োজন থাকে প্রতিটি সম্পর্কেই। সেটি একটি বিশেষ দিনে পালন করাও দোষের কিছু নয়। তবে বিয়ের পরে এই দিবসটি পালন করতে গেলে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে-

ভালোবাসা দিবস আপনার কাছে বিশেষ একটি দিন।এই দিনটি উদযাপন করার জন্য আপনি বেশ আগ্রহী। কিন্তু আপনার পরিবারে সেটি সম্ভব নাও হতে পারে। হয়তো আপনি যৌথ সংসারে থাকেন। সেখানে সবার মধ্যে থেকে উদযাপন সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলুন। অযথা একগুয়ে আচরণ করে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট করবেন না। যদি সম্ভব হয়, দু’জন মিলে বাইরে কোথাও উদযাপন করে আসুন। কোনো রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ অথবা ডিনার সারুন। দু’জন দু’জনকে সাধ্যের মধ্যে উপহারও দিতে পারেন।

সদ্যই বিয়ে হয়েছে, আর এটাই প্রথম ভালোবাসা দিবস? সঙ্গীর কাছ থেকে ভালো একটি উপহার আপনি আশা করতেই পারেন। কিন্তু বিয়েতে যদি বেশকিছু টাকা খরচ হয়ে থাকে, এই মুহূর্তে একটু টানাটানি চলা স্বাভাবিক। খেয়াল রাখতে হবে সেদিকেও। তাই তার দেয়া উপহার পছন্দ না হলেও মন খারাপ করবেন না। বরং পরস্পরের অসুবিধা বুঝে চললে দু’জনের সম্পর্কটাই সুন্দর হবে।

ভালোবাসা দিবসে যদি আপনার সঙ্গী উইশ করতে ভুলেও যান, তা নিয়ে মন খারাপ করবেন না। ভাববেন না, বিয়ে হয়ে গেছে বলে আপনি তার কাছে পুরোনো হয়ে গিয়েছেন, তার কাছে আপনার আর কোনো গুরুত্ব নেই! হয়তো ব্যস্ততার কারণে তিনি উইশ করতে ভুলে গেছেন। অবুঝ অভিমান করলে সম্পর্কের ক্ষতি। ব্যক্তিগত স্পেসটা একে অপরকে দিলে তবেই আপনারা ভাল থাকবেন।

বিয়ের আগেও হয়তো ভালোবাসা দিবস নিয়ে আলাদা কোনো উৎসাহ ছিল না আপনার। আপনার সঙ্গীর ক্ষেত্রেও সেরকমই। তাই বিয়ের পর নতুন করে ভালোবাসা দিবস উদযাপন অত্যন্ত হাস্যকর। এ যেন নিজেদের অভ্যাসের বাইরে বেরিয়ে নতুন কেউ হয়ে ওঠার চেষ্টা। তাই নিজেদের মতো করে উদযাপন করুন। অন্য কারও মতো হতে গেলেই সমস্যা।

এইচএন/এমকেএইচ