নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ের কোয়ার্টার ও স্থাবর সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও পূর্ত কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম অবৈধভাবে কোয়ার্টারে বসবাস করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর নামে কোয়ার্টার বরাদ্দ নিয়ে তিনি সেখানে বসবাস করছেন। ফলে চাকরিবিধি অনুযায়ী মূল বেতনের শতকরা ৪৫ ভাগ বাসা ভাড়া দিতে হচ্ছে না তাকে। তিনি বাসা ভাড়া বাবদ নামমাত্র টাকা প্রদান করছেন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর বেতন হিসেবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রেলওয়ের প্রাণ কেন্দ্র পুলিশ ক্লাব সংলগ্ন বাংলো নং-ই-৩১ দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তাদের জন্য নির্দিষ্ট। বিশেষ করে প্রকৌশলী হিসেবে যারা নিয়োগপ্রাপ্ত। এ বাংলোটি দ্বিতীয় শ্রেণির কোনো কর্মকর্তা বরাদ্দ নিলে তার মূল বেতনের ৪৫ শতাংশ হারে প্রায় ১৩ হাজার ৬০৪ টাকা কর্তন করার কথা। কিন্তু বাংলোটি অবৈধভাবে আইডব্লিউ অফিসের একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিরাপত্তা প্রহরী শামীম আকতারের নামে বরাদ্দ দেখানো হয়েছে। কিন্তু সেখানে বসবাস করছেন তহিদুল ইসলাম। ফলে নিরাপত্তা প্রহরী শামীম আকতারের বেতন থেকে ভাড়া বাবদ ৬ হাজার ৪৮০ টাকা কর্তন করা হচ্ছে। এতে তহিদুল ইসলামের প্রতিমাসে প্রায় ৮ হাজার টাকা বেঁচে যাচ্ছে। এই সুযোগ নিতে তিনি তার অধীনস্ত কর্মচারীর নামে বাংলো বরাদ্দ নিয়ে বসবাস করছেন। এভাবে তিনি অংসখ্য বাংলো নিম্ন শ্রেণির কর্মচারীর নামে বরাদ্দ দিয়ে বিনিময়ে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করছেন।
এ ব্যাপারে নিরাপত্তা প্রহরী শামীম আকতার বলেন, বাংলো আমার নামে বরাদ্দ আছে। কিন্তু সেখানে আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম বসবাস করছেন। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এমনটা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে কথা বলতে তহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সৈয়দপুর রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. আহসান উদ্দিন বলেন, ফাইল দেখে বিষয়টি নিশ্চিত হতে হবে। তারপর এ ব্যাপারে যা করণীয় তা করা হবে।
জাহেদুল ইসলাম জাহিদ/আরএআর/পিআর