খেলাধুলা

‘মহিউদ্দিন মহিই সব বোঝেন, আর ফিফা-এএফসি বুঝি সব গাধা?’

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাহী কমিটির যে কয়জন কর্মকর্তা সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে সোচ্চার তাদের একজন সহসভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহি।

ব্রাদার্স ইউনিয়নের কর্মকর্তা ও যুব লিগ নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ মহি বোমা ফাটিয়েছিলেন বাফুফের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এনে। তরফদার মো. রুহুল আমিনের নির্বাচনী প্রচারণায় প্রায় নিয়মিতই ছিল তার উপস্থিতি। সোমবার দুপুরে তরফদার মো. রুহুল আমিনের সভাপতি পদে নির্বাচন না করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনেও তিনি ছিলেন পাশে।

তরফদার মো. রুহুল আমিন বাফুফের ‘বড় চেয়ার’ থেকে চোখ সরিয়ে নেয়ার পর কাজী সালাউদ্দিনের সামনে চ্যালঞ্জটা প্রায় শূন্যের কোঠায়। বিকেলে অনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনে নির্বাহী কমিটির বেশিরভাগ কর্মকর্তাই ঘিরে বসেছিলেন কাজী মো. সালাউদ্দিনকে। দক্ষিণের বাতাস উত্তরে গেলেও মহিউদ্দিন মহি আছেন নিজের অবস্থানে। তিনি পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচনে কাজী সালাউদ্দিন কোনো প্যানেল তৈরি করলে তিনি সেখানে থাকবেন না।

মহিউদ্দিন মহির এ ঘোষণা প্রসঙ্গে কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘এটা সাধারণ বিষয়। আমার কমিটিতে কাকে রাখবো কি না রাখবো সেটা আমার বিবেচনা। আমি রাখলে তো তার প্রত্যাখ্যান করার প্রশ্ন আসে। আর তিনি যা করেছেন তা নিয়ে বলবো- তার (মহির) যদি সৎ সাহস থাকতো তাহলে এজিএমএ আসতেন। আমাদের ১৩৯ জন কাউন্সিলর আছেন। আমাদের অ্যাকাউন্টস কাউন্সিলরদের পাশ করা, অডিটে পাশ করা এবং এএফসি ও ফিফা অনুমোদিত। এজিএম এর আগে ফিফা ও এএফসি কমপ্লিট ডকুমেন্টস সবার কাছে দেয়া হয়েছিল। সেখানে কোনো সমস্যা ছিল না। তাহলে কি মহিউদ্দিন মহিই সব বোঝেন, বাকিরা গাধা? ফিফা ও এএফসি সব গাধা?’

মহিউদ্দিন উদ্দিন মহির অভিযোগ প্রসঙ্গে বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি ও ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেছেন, ‘তিনি (মহি) ফিন্যান্স কমিটির সহসভাপতি। তিনি কমিটির সভায় সংশোধনী আনতে পারতেন। সভার বাইরে কথা বলে তো লাভ নেই।’

আরআই/আইএইচএস/পিআর