অবশেষে খাদ্য সামগ্রী পেলেন শেরপুরের নালিতাবাড়ীর সোহাগপুরের বিধবারা। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ও রাতে নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।
বিকেলে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীমের নেতৃত্বে তিনটি গাড়িবহর বের হয়। এর একটি গাড়িতে থাকে খাদ্য সামগ্রী। পুলিশ সুপার সোহাগপুরের বিধবাদের বাড়িতে গিয়ে সার্বিক বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং করোনা নিয়ে সচেতনার পরামর্শ দেন। পরে শহীদ জায়া ও বীরাঙ্গনাদের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন।
খাদ্যসামগ্রী পেয়ে মলিন মুখটা যেন হাসিতে ভরে উঠে বীরাঙ্গনাদের। এছাড়াও বিধবাদের সব সময় দেখাশোনা করার জন্য নালিতাবাড়ী থানার ওসি বশির আহম্মেদ বাদলকে নির্দেশ দেন পুলিশ সুপর। খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশে ওসি মোখলেছুর রহমান, শেরপুর সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন, নালিতাবাড়ী থানার ওসি বশির আহম্মেদ বাদলসহ পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শুক্রবার রাতে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমানের নেতৃত্বে দুটি গাড়িবহর বের হয়। এতে একটি গাড়িতে থাকে খাদ্য সামগ্রী। ইউএনও সোহাগপুরের বিধবাদের বাড়িতে গিয়ে সার্বিক বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং করোনা নিয়ে সচেতনার পরামর্শ দেন। পরে তাদের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। এতে বীরাঙ্গনাদের হাসি মুখে আরও হাসি দেখা দেয়। পরে ইউএনও আরিফুর রহমান তাদের পাশে সব সময় থাকার আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই পাকবাহিনী হামলা চালায় এই সোহাগপুরে। গুলি করে হত্যা করে ১৮৭ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে। বিধবা হন ৬২ জন গৃহবধূ। ২০০৭-০৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৯ পদাতিক ডিভিশনের তালিকা অনুযায়ী বর্তমানে ২৭ জন বিধবা বেঁচে আছেন।
আরএআর/এমএস