ঝিনাইদহ জেলায় এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়নি। এর আগে শৈলকূপা উপজেলায় করোনা সন্দেহে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। তবে পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে।
রোববার (১৯ এপ্রিল) পর্যন্ত ঝিনাইদহ কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ১ হাজার ৯১৯ জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছে ৯৯২ জন। বর্তমানে ৯২৭ জন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে।
ঝিনাইদহ জেলায় ১৩৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রোববার ২৭ জনের রিপোর্ট এসেছে, তারা সবাই করোনামুক্ত। বাকিদের রিপোর্টও ধারাবাহিকভাবে আসবে বলে জানানো হয়েছে।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আমরা করোনার তৃতীয় স্তরে প্রবেশ করে ফেলেছি। অর্থাৎ কার থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হচ্ছে তা আর খোঁজ পাওয়া সম্ভব নয়। তাই আমাদের ঘরে থাকা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। স্বস্তির সংবাদ, রোববার পর্যন্ত জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা শূন্য।
তিনি আরও বলেন, সবাইকে সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে এবং তাদেরকে সহযোগিতা করবো এবং বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়ার দরকার নেই। একমাত্র সচেতনতাই পারে সবাইকে করোনার হাত থেকে রক্ষা করতে। তাই আসুন নিজে সচেতন থাকি অপরকে সচেতন করি।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এমএসএইচ