দেশজুড়ে

সিলেটে পৃথক ঘটনায় বৃদ্ধ ও যুবক খুন

সিলেটের বিয়ানীবাজার ও ওসমানীনগরে প্রতিপক্ষের হামলায় দুইজন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন- আব্দুর রউফ (৫৭) ও শিপন আহমদ (২৪)। বুধবার (৬ মে) ইফতারের পূর্বে ও ইফতারের সময় পৃথক এ দুটি ঘটনা ঘটে। দুই ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৯ জন।

বুধবার ইফতারের ঠিক পূর্বে বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা নালবহর গ্রামে ঘরের চালের পানিপড়া নিয়ে সংঘর্ষে আব্দুর রউফ এবং প্রায় একই সময়ে ওসমানীনগরের পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হন শিপন আহমদ।

বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা নালবহর গ্রামের স্থানীয়রা জানান, গ্রামের কয়েস আহমদ, নাজিম উদ্দিন, পারভেজ, আলীনুর, শাহনুর, আখতার আহমদদের সাথে জায়গাজমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল আব্দুর রউফ পরিবারের। এরই জেরে বুধবার ইফতারের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে আব্দুর রউফের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় কয়েস আহমেদসহ তার সহযোগীরা। হামলাকারীরা আব্দুর রউফকে বেধড়ক মারধর, কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। সে সময় তাকে রক্ষা করতে আব্দুল হামিদসহ অন্যরা এগিয়ে গেলে কয়েস আহমদ ও তার সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের রক্তাক্ত জখম করে।

খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুর রউফ ও আব্দুল হামিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ওসমানী হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান আব্দুর রউফ।

এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অবনি শংকর জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার হাসপাতালে পাঠায়। তাদের মধ্যে আব্দুর রউফ নামের একজন মারা যান। পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

অপরদিকে ওসমানীনগরের তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হন শিপন আহমদ নামে ওই যুবক। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আরও ১৪ জন আহত হন।

জানা গেছে, বুধবার ইফতারের সময় উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ও ঈশাগ্রাই গ্রামের জয়নুল হক ধন মিয়ার সাথে প্রতিপক্ষ আশিক মিয়ার সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় ধন মিয়ার পক্ষের লোকজনের সুলফির (বল্লম) আঘাতে আশিক মিয়ার ছেলে শিপন আহমদ গুরুতর আহত হন। তাকে আহতাবস্থায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। এতে অপর আহতদের ওসমানী এবং স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর মাইক্রোবাসযোগে পালানোর সময় উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউপির গলমুকাপন এলাকা থেকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৯ জনকে আটক করে পুলিশ।

ওসমানীনগর থানার ওসি রাশেদ কবির বলেন, সন্দেহজনক হিসেবে মাইক্রোবাস ৯ জনকে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে। যাচাই-বাচাই ও জ্ঞিাসাবাদ করে যদি দেখা যায় তারা খুনের সাথে জড়িত তাহলে তাদের আইনের আওতায় নেয়া হবে। তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম প্রকাশ করছি না।

ছামির মাহমুদ/বিএ