বিভিন্ন কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য নীলফামারী থেকে যাত্রা শুরু করেছে স্পেশাল পার্সেল ট্রেন। শুক্রবার সকাল ৯টায় জেলার চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে খুলনা পর্যন্ত বিশেষ পার্সেল ট্রেন যাত্রা শুরু করে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বন্ধ রয়েছে রেলওয়ে পরিবহন সেবা। এ অবস্থায় চিলাহাটি-খুলনা-চিলাহাটি রেলপথে একজোড়া বিশেষ পার্সেল সার্ভিস কৃষকের উৎপাদিত কাঁচামাল পরিবহনে যুগান্তকারী পদক্ষেপে গ্রহণ করায় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা প্রধানমন্ত্রীসহ রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এটি আরও অনেক আগে চালু করলে ভালো হতো বলে জানান নীলফামারী চেম্বারের সভাপতি মারুফ জামান।
তিনি বলেন, বিশেষ পার্সেল ট্রেনটি প্রতিদিন উভয় দিক থেকে চালু রাখলে ব্যবসায়ীরা বেশি উপকৃত হতেন।
প্রথমদিন শুক্রবার চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে ১০০ কেজি ওজনের ২৮ বস্তা কাঁচামরিচ, ৫০ কেজি ওজনের ১০ বস্তা সুপারি ও ৩০ কেজি ওজনের ৬ ক্যারেজ টমেটো, ডোমার স্টেশন থেকে ৭০ কেজি ওজনের ৩৮ বস্তা কাঁচামরিচ ও বাঁশের ধারা এক বান্ডিল, নীলফামারী রেলস্টেশন থেকে ৭০ কেজি ওজনের ৫ বস্তা কাঁচামরিচ, ১০০ কেজি ওজনের দুই বস্তা আদা, পোনা মাছের ড্রাম ১০টি ও এক পরিবারের আসবাবপত্র, সৈয়দপুর রেলস্টেশন থেকে ৭০ কেজি ওজনের ২৮ বস্তা কাঁচামরিচ ও ৩০ বস্তা বাইসাকেলের নতুন যন্ত্রপাতি।
এসব পণ্য নীলফামারী জেলার চারটি রেলস্টেশন থেকে খুলনা, দৌলতপুর, যশোর, ঈশ্বরদী, দর্শনা হল্ট ও চুয়াডাঙ্গা যাচ্ছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিন্টেন্ডেন্ট আব্দুল আওয়াল জানান, পার্সেল ট্রেনটি গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় খুলনা স্টেশন থেকে চিলাহাটি গিয়ে পৌঁছে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে। শুক্রবার সকাল ৯টায় চিলাহাটি থেকে কৃষি পণ্যসহ খুলনা অভিমুখে ছেড়ে এসেছে। এটি খুলনায় রাত সাড়ে ৮টায় এসে পৌঁছবে। পণ্যবাহী বিশেষ এ ট্রেনটি উভয় পথে ডোমার-নীলফামারী-সৈয়দপুর-পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী-বিরামপুর-পাঁচবিবি-জয়পুরহাট-জামালগঞ্জ-আক্কেলপুর-তিলকপুর-সান্তাহার-আহসানগঞ্জ-নলডাঙ্গারহাট-নাটোর-আব্দুলপুর-ঈশ্বরদী-ভেড়ামারা-পোড়াদহ-আলমডাঙ্গা-চুয়াডাঙ্গা-দর্শনাহল্ট-আনসারবাড়িয়া-সাফদারপুর-কোট চাঁদপুর-যশোর- নওয়াপাড়া- দৌলতপুর ও খুলনায় থামবে।
এছাড়া যেসব স্টেশনে বিশেষ পার্সেল ট্রেনটি দাঁড়ানোর কথা নয় সেসব স্টেশনে যদি পরিবহনের জন্য কৃষিপণ্য থাকে তাহলে ওই রেলস্টেশনমাস্টার আগাম জানিয়ে রাখলে ট্রেনটি সেখানে থেমে কৃষিপণ্য তুলে নেবে।
তিনি বলেন, নির্দিষ্ট গন্তব্যে খাদ্যসহ জরুরি পণ্য পৌঁছে দিতে রেলের এ পার্সেল ট্রেন একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। প্রথমবারের মতো খুলনা-চিলাহাটি-খুলনা রুটে এ ধরনের পরিবহন ট্রেন চালু হলো। ট্রেনটিতে রয়েছে পাঁচটি লাগেজ ভ্যান ও একটি ব্রেকভ্যান। চাহিদা থাকলে আরও লাগেজভ্যান সংযুক্ত করা হবে। সপ্তাহে ট্রেনটি খুলনা থেকে শনিবার ও চিলাহাটি থেকে রোববার বন্ধ থাকবে। বাকি দিনগুলোতে স্বাভাবিক সেবা পাবে এ অঞ্চলের ব্যবসায়ী ও কৃষকরা। তবে ট্রেনটিতে কোনো যাত্রী পরিবহন করা হবে না বলে জানান তিনি । জাহেদুল ইসলাম/এমএএস/পিআর