করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী দেশে যাত্রীবাহী পরিবহন বন্ধ রয়েছে। তবে থেমে নেই মানুষের পথচলা। কেউ রিকশায়, কেউ সিএনজি অটোরিকশায় আবার কেউ বাইকে করে ছুটে চলেছেন। মাস খানেক ধরে শায়েস্তাগঞ্জের ফাঁকা রাস্তায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাইক রাইড শেয়ারিং। যদিও হবিগঞ্জ তথা শায়েস্তাগঞ্জে অ্যাপ ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং পাঠাও, উবার চালু হয়নি। উপজেলার বেশকিছু যুবক নিজস্ব বাইকে একজন-দু’জন করে যাত্রীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। বিনিময়ে আয় করছেন অর্থ।
শায়েস্তাগঞ্জের অলিপুর থেকে রাইড শেয়ারিং করছেন মো. শোয়েব মিয়া। হবিগঞ্জে যাত্রী পৌঁছে দিয়ে ভাড়া নিচ্ছেন জনপ্রতি ২শ টাকা। এভাবে সেবা দিয়ে তিনি দিন ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা ইনকাম করছেন।যাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও বাইকের কাগজপত্র ঠিক আছে তারাই মূলত এভাবে লকডাউনে কিছুটা আয় করতে পারছেন।
শায়েস্তাগঞ্জের নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে সেবা দিচ্ছেন মো. বাতেন মিয়া। তিনি নতুন ব্রিজ থেকে হবিগঞ্জ পর্যন্ত যাত্রী প্রতি নিচ্ছেন ১০০-১২০ টাকা। অনেকেই আবার অতিরিক্ত আয়ের আশায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এক জেলা থেকে অন্য জেলাতেও লোক পৌঁছে দিচ্ছেন।
এদিকে বাইকের পেছনে একজন-দু’জন যাত্রী বহন করলেও যাত্রীদের নেই তেমন সুরক্ষা সরঞ্জামাদি। ফলে ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। তারপরও জরুরি কাজে বের হওয়া মানুষগুলো দ্রুত গন্তব্যে যাওয়ার আশায় অতিরিক্ত টাকা দিয়ে রাইড শেয়ারিং সেবা নিচ্ছেন।
রাইডার সাদ্দামের নিজের বাইক নেই, তিনি আরেকজনের কাছ থেকে আবার ভাড়ায় এনছেন। তিনি বলেন, ভাই সবসময় যাত্রী পাওয়া যায় না। তবে কোনো কোনো দিন ভালোই ইনকাম হয়। কিছু একটা করে তো খেতে হবে। তাই ঝুঁকি নিয়ে কোনোভাবে চলার চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ ট্রাফিক জোনের ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঝুঁকি জেনেও মানুষ বাইকে যাতায়াত করছে।
মহাসড়কে চেকপোস্ট বসানো আছে, কাগজপত্র ঠিক না থাকলে বাইক আটক করে মামলা দেয়া হচ্ছে।
কামরুজ্জামান আল রিয়াদ/এফএ/এমএস