ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডবে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী গ্রামে ঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে নাদিরা বেগম নামে একজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২১ মে) সকালে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, ঝড়ের সময় তারা ঘরে ছিলেন। রাতে ঘরের পাশে থাকা একটি গাছ ভেঙে পড়ে ঘরের উপর। এ সময় ওই নারী নিহত হন। পরে সকালে ফায়ার সার্ভিস এসে মরদেহ উদ্ধার কাজ করে।
এদিকে ঝিনাইদহে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বুধবার সারাদিন দমকা বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি হয়। এতে জেলাজুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। সন্ধ্যার পর বাতাসের গতিবেগ বাড়তে থাকে। রাত ১১টার পর আম্ফানের তাণ্ডব শুরু হয়ে সারারাত চলে ঝড়। সকালে বাতাসের গতিবেগ কমে।
সকালে সরেজমিনে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, ঝড়ে বিপুল সংখ্যক গাছপালা ভেঙে পড়েছে। মাঠে কেটে রাখা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষক।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের কৃষক নন্দকুমার ঘোস বলেন, আমরা চাষি মানুষ। এই ফসলের উপর চলে আমাদের সংসার। কিন্তু গতকাল প্রচণ্ড ঝড় বৃষ্টিতে মাঠে কেটে রাখা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মাঠে পানি জমে সব ধান তলিয়ে গেছে। এখন পানিতে হাতড়িয়ে ধান নিতে হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ জানান, ঝড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা যাচ্ছে না।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এফএ/জেআইএম