দেশজুড়ে

মেডিকেল কর্মকর্তার স্ত্রীর লাইসেন্সবিহীন হাসপাতালে সরকারি ওষুধ

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় লাইসেন্স না থাকা ও বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে হলি লাইফ স্পেশালাইজড হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে বড়লেখা পৌর শহরের দক্ষিণবাজার এলাকার শিব্বির ম্যানশনের হলি লাইফ স্পেশালাইজড হাসপাতালে এ অভিযান চালানো হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামীম আল ইমরান।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রত্নদীপ বিশ্বাস, বড়লেখা থানার পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) রতন দেবনাথ।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি একজন রোগীর পক্ষে তার স্বজন লাইফ স্পেশালাইজড হাসপাতালের বিরুদ্ধে যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোহাম্মদ নুর নবী রাজুকেও অভিযুক্ত করেন। যিনি ওই হাসপাতালের চেয়ারম্যান মৌসুমী কিবরিয়ার স্বামী। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালটিতে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এ সময় দেখা গেছে, হাসপাতালের লাইসেন্স নেই। হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট ও সরকারি হাসপাতালের ওষুধ পাওয়া গেছে। হাসপাতালে সেবা কার্যক্রমেরও কোনো মূল্য তালিকা নেই। হাসপাতালের অভ্যন্তরে ফার্মেসির ড্রাগ লাইসেন্স নেই। এসব কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে লাইসেন্স না হওয়া পর্যন্ত হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন থেকে অনুমোদন না নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালটির কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। এছাড়া চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত বিল আদায়সহ নানাভাবে হয়রানি করা হতো। এ নিয়ে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগীরা।

বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামীম আল ইমরান বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালানো হয়। হাসপাতালের লাইসেন্স নেই। অনেকগুলো অনিয়ম পাওয়ায় জরিমানা ও হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সরকারি ওষুধ কি করে এখানে এসেছে, তা তদন্ত করে দেখা হবে।

রিপন দে/এএম/এমকেএইচ