বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
শনিবার শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমি আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে অনলাইন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব জানান।
তিনি বলেন, যে ব্যক্তিটি আজীবন এদেশের স্বাধীনতা আর এদেশের মানুষের জন্য ত্যাগ করে গেছেন তাকেই আজকের এইদিনে সপরিবারে নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়। এমন কলঙ্কময় ইতিহাস বিশ্বের আর কোথাও নেই।
ফরহাদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের সত্ত্বার সঙ্গে মিশে আছেন। বাংলাদেশের আরেকটি নাম শেখ মুজিবুর রহমান। শুধু এদেশেই নয়, সারা বিশ্বেই বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশের নাম একই সাথে উচ্চারিত হয়।
বঙ্গবন্ধু এদেশের স্বাধীনতা আর অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে গেছেন। এ জাতির জন্য বঙ্গবন্ধু যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল।
অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে বঙ্গবন্ধু এ জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন উল্লেখ করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তার সেই স্বপ্নকে থামিয়ে দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর সেই ভেঙে দেয়া স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরন্তর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়েরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই সেই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে এখানে কর্মরত সকলকে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী ‘জনমুখী জনপ্রশাসন’ করে তুলতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর বদরুন নেছার সভাপতিত্বে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন ও বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রেক্টর মো. রকিব হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
প্রতিমন্ত্রী এরপর মেহেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ‘অনলাইন কনফারেন্স’ এর মাধ্যমে যোগ দেন।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
আরএমএম/এমআরএম/জেআইএম