নারায়ণগঞ্জে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, ‘অনেকে বলেছেন, গ্যাসলাইন মেরামতের জন্য ৫০ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে। এটা তদন্তের বিষয়। এটাই বাস্তবতা। যে যাই বলুক বাস্তবতা হচ্ছে গ্যাসের বিষয়ে তদবির না করলে কাজ হয় না। যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ধরনের নেগলিজেন্সের (অবহেলা) কারণে যাতে আর কোনো প্রাণ না যায় সে জন্য এ ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ সাজা হওয়া দরকার। আমাদের দেশের সমস্যা হলো- কোনো ঘটনা ঘটলে ১৩-১৫টা তদন্ত কমিটি হয়। কাজ হয় না।’
রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের দেখতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘যদি সাজা নিশ্চিত না করা হয় তাহলে আজ শুধু নারায়ণগঞ্জে হয়েছে। কাল ঢাকায় হবে, অন্যান্য জায়গায় হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের সমস্যা হলো কোনো ঘটনা ঘটলে ১৩-১৫টা তদন্ত কমিটি হয়। কাজ হয় না। তদন্ত কমিটি কোনো সমাধান নয়। যদি তদন্ত কমিটি চিহ্নিত করা দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া হয়, তাহলে তদন্ত কমিটি করে কোনো সমাধান হবে না। যারা মারা গেছেন তারা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে কি না, ভবিষ্যতে এ দুর্ঘটনা বন্ধ হচ্ছে কি না এগুলো নিয়ে কথা বলতে হবে।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা প্রায় ৫০ জনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তাদের মধ্যে দগ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। জীবিত আছেন ১৩ জন। তবে তাদের সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে, শরীরের ৫০ থেকে ৭০-৮০ ভাগও পুড়ে গেছে। ফলে কেউই আশঙ্কামুক্ত নন। জীবিতদের সারিয়ে তোলার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।
এআর/এফআর/এমকেএইচ