‘হত্যা-ধর্ষণ প্রতিরোধে সরকারের ব্যর্থতায় জাতি আতঙ্কিত’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
শুক্রবার (২ অক্টোবর) দলটির জাতীয় পরিষদের এক সভায় (ভার্চুয়াল) সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘হত্যা এবং ধর্ষণের ভয়াবহতা যেভাবে সমগ্র সমাজে প্রতিনিয়ত বিস্তার লাভ করছে সে ভয়াবহতায় সমগ্র জাতি এখন আতঙ্কিত। রাষ্ট্র নারী ও শিশুদের ধর্ষণ ও এর শিকারদের সামাজিক সুরক্ষা দিতে পারছে না। অন্যদিকে ধর্ষকদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার বিষয়টিও জোরালো হচ্ছে না। ফলে হত্যা-ধর্ষণ প্রতিরোধে সরকারের ব্যর্থতায় সমগ্র জাতি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।’ তিনি বলেন, ‘জনগণকে নিরাপত্তাহীন এবং আতঙ্কগ্রস্ত রেখে রাষ্ট্র পরিচালনা কোনোক্রমে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। নৈতিক সংকটে নিমজ্জিত সরকার সমাজে সুশাসন দিতে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। অবৈধ সরকারের অপসংস্কৃতি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়ছে। অপশাসন এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি রাষ্ট্র এবং সমাজকে বিপজ্জনক পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে।’
জেসডি সভাপতি বলেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে সমাজের আভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে এবং সমাজ দ্রুত নৈরাজ্যের দিকে ধাবিত হবে। দুর্নীতি, অদক্ষতা ও বেআইনি কর্মকাণ্ডের ফলে সরকারের সকল প্রতিষ্ঠান আইন অনুযায়ী কর্তব্য সম্পাদনের সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। এই সরকার ক্ষমতায় থেকে আর আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও সামাজিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘উপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থা দিয়ে আর গণমুখী রাষ্ট্র বিনির্মাণ করা সম্ভব হবে না। এখন আন্দোলন করতে হবে শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যে, শুধুমাত্র শাসক পরিবর্তন নয়। একইসঙ্গে শাসক এবং শাসন ব্যবস্থা বদল করতে হবে।’
‘আন্দোলন হবে জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে। আন্দোলনের রূপ হবে গণঅভ্যুত্থানমূলক। গণআন্দোলন, গণবিস্ফোরণ ও গণঅভ্যুত্থানের জন্য সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করাই হবে এ মুহূর্তে আমাদের রাজনৈতিক করণীয়।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- সা কা ম আনিসুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, আব্দুস সালাম, বাবু হীরালাল চক্রবর্তী, হাসিনা রওনাক,মহুয়া কুদরত, আমিন উদ্দিন বিএসসি, মীর জিল্লুর রহমান, ফকির শওকত ও ব্যারিস্টার ফারাহ খান প্রমুখ।
এইউএ/এফআর/পিআর