মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পালরদ্দি নদে গর্ভে বিলীনের পথে নবনির্মিত ব্যস্ততম লক্ষ্মীপুর-পখিরা সড়ক। এ নদে ভাঙনের ফলে সড়কটি দিয়ে যান চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ ভাঙনরোধে জরুরি ভিত্তিতে কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে পুরো সড়কটি যে কোনো মুহূর্তে বিলীন হয়ে যেতে পারে। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন অনেকে।
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের অর্থায়নে প্রায় সাত মাস আগে পৌর এলাকার লক্ষ্মীপুর-পখিরা পাকা সড়কের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়। পখিরার তিন রাস্তার মোড় থেকে আলীনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান মিলন সরদারের বাড়ি পর্যন্ত এ আধা কিলোমিটার নতুন সড়কটি সংযুক্ত করা হয়।
এ সড়কটি পুরোটাই পালরদ্দি নদের পাশ দিয়ে চলে গেছে। কিন্তু পালরদ্দিন নদের পানি হঠাৎ করে একেবারে কমে যাওয়ায় অল্প কিছুদিন ধরে এ নবনির্মিত সড়কটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত দেখা দিয়েছে। এ সড়কটির অর্ধেক পালরদ্দি নদে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া বাকি অংশ বিলীনের পথে রয়েছে। সড়কটি নদে ভাঙনের কবলে পড়ে সব যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
লক্ষ্মীপুর, পখিরা, কাষ্টঘর, ফাসিয়াতলা, আলীনগর, কালীগঞ্জ, ফুলবাড়িয়া, গজারিয়া ও গদাধরদিসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়ক দিয়ে চলাচল করছেন। এদিকে নতুন করে পালরদ্দি নদে ভাঙনের মুখে রয়েছে লক্ষ্মীপুর-পখিরা জামে মসজিদটি।
পথচারী সোহাগ, রোমেল, ছত্তার, স্কুলছাত্র রফিজুল ও কলেজছাত্র আমিনুলসহ বেশ কয়েকজন বলেন, নদীতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধ না করা হলে হয়তোবা ২ থেকে তিন দিনের মধ্যে পুরো সড়ক বিলীন হয়ে যাবে। প্রশাসনের কাছে জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
আলীনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান মিলন বলেন, সড়কটির বিষয় আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে নতুন সড়কটি ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম বলেন, নদী ভাঙনরোধে পাকা সড়কটি বাঁচানোর জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে আমরা অবহিত করেছি। শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে। মূলত নদীর পানি একেবারে কমে যাওয়ায় এ ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে আমি ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
এ কে এম নাসিরুল হক/এমএএস/এমকেএইচ