দীর্ঘ ১১ মাস ২৬ দিন পর অবশেষে প্রকাশিত হয়েছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত মাদরাসাগুলোর ফাজিল (স্নাতক) পরীক্ষার ফলাফল।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর সিরাজ উদ্দিন আহমাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ফাজিল (স্নাতক) অনার্স প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষ পরীক্ষা-২০১৯ এর ফল প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেসব পরীক্ষার্থীর ফলাফল স্থগিত রয়েছে তাদের ফলাফল যথাদ্রুত প্রকাশ করা হবে। এছাড়াও প্রকাশিত ফলাফলের বিষয়ে কোনো পরীক্ষার্থী বা সংশ্লিষ্ট কারও অভিযোগ থাকলে ফল প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে লিখিতভাবে জানাতে হবে।
এদিকে, দীর্ঘ প্রায় এক বছর পর ফলাফল পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, ইসলাম ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ফাজিল (স্নাতক) প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় বর্ষ পরীক্ষা-২০১৯ শেষ হয় গত বছরের ডিসেম্বরে ৮ তারিখ।
Advertisement
এর দীর্ঘ প্রায় ১১মাস ২৫ দিন পর অবশেষে পরীক্ষার ফল পেলেন তারা। অবশ্য ফলাফল প্রকাশে এমন দীর্ঘসূত্রিতার ব্যাপারে ব্যাপক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী গোলাম কিবরিয়া হাসিব বলেন, ‘এত দীর্ঘ সময় পর ফলাফল প্রকাশ করলে আমাদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে আবেদন করতে না পারা, সেশনজটে পড়া সহ নানাবিধ অনিশ্চয়তাসহ নানাবিধ দুশ্চিন্তায় ছিলাম।’
আরেক শিক্ষার্থী সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘ফলাফল প্রকাশে এমন বিলম্বের কারণে চাকরির আবেদনে পিছিয়ে পড়াসহ শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশাও বেড়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে আমাদের ফাজিল (অনার্স) এর পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এখন ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে এসে প্রকাশ পেল এক বছর আগে শেষ হওয়া পরীক্ষার ফল। অথচ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের একই বর্ষের শিক্ষার্থীরা অনার্স পাশ করে বিভিন্ন চাকরির জন্য আবেদন করছে, পরীক্ষা দিচ্ছে।’
ফল প্রকাশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আরও উদ্যমী হওয়ার আহ্বান জানান এই শিক্ষার্থী।
Advertisement
ফলাফল প্রকাশে এই দীর্ঘসূত্রিতার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর সিরাজ উদ্দিন আহমাদ বলেন, ‘প্রযুক্তিগত সমস্যা এবং করোনা পরিস্থিতিতে সার্বিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ফল প্রকাশে কিছুটা সময় লেগেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রযুক্তিগত সমস্যা দূর করতে ইতোমধ্যেই নতুন কোম্পানিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এতে করে সামনের দিনগুলোতে অনুষ্ঠিত পরীক্ষা সমূহের ফলাফল যথাসময়ে প্রকাশ করা সম্ভব হলে হবে।’
এমএইচএম/এসএস/জেআইএম