ভোলায় আম গাছ থেকে পড়ে পঙ্গু হওয়া বাবুল মাঝিকে একটি গাভী ও চলাচলের জন্য একটি হুইল চেয়ার দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। তার অবর্ণনীয় কষ্টের কথা জানিয়ে জাগো নিউজে খবর প্রকাশের পর তাকে এ সহায়তা দেয়া হয়।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে তজুমদ্দিন উপজেলার মিলনায়তনে বাবুল মাঝিকে গাভী ও হুইল চেয়ার তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পল্লব কুমার হাজরা। পরে তাকে সরকারিভাবে একটি ঘর ও নগদ অর্থ দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ইউএনও।
এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর (রোববার) ‘জীবন নদীর কূল পাচ্ছেন না বাবুল মাঝি’ শিরোনামে জাগো নিউজে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
ইউএনও পল্লব কুমার হাজরা জানান, জাগো নিউজে প্রকাশিত সংবাদটি দেখে আমি তাৎক্ষণিক বাবুল মাঝির খোঁজ-খবর নেই এবং তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরে আজ তাকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি গাভী ও তার চলাচলের জন্য একটি হুইল চেয়ার দেয়া হয়। পরবর্তীতে তার পরিবারকে একটি ঘর ও নগদ অর্থ দেয়া হবে।
বাবুল মাঝি জাগো নিউজকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমি আট বছর ধরে মানবেতর জীবন-যাপন করেছি। কিন্তু কেউ আমাকে সহযোগিতা বা আমার খোঁজখবর নেয়নি। গত ১৩ তারিখ জাগো নিউজে আমাকে নিয়ে সংবাদ প্রচার হওয়ার পর আমি একটি গাভী ও হুইল চেয়ার পেয়েছি। এ সহযোগিতা পাওয়ায় আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও ধন্যবাদ জানাই।’
উল্লেখ্য, ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মাওলানাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মো. বাবুল মাঝি (৪৫)। গত আট বছর আগে নিজের বাড়ির আম গাছ থেকে পড়ে গিয়ে দুই পা পঙ্গু হয়ে যায়। চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিজের কষ্ট করে জমানো অর্থ ও শেষ সম্বল ঘর-ভিটাও বিক্রি করতে হয়েছে।
সব হারিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেড়িবাঁধের ওপর ঝুপড়ি ঘর তুলে বসবাস করছেন বাবুল মাঝি। নিজের চিকিৎসা করানো দূরের কথা পরিবারের সদস্যদের দু’বেলা খাবার জোগাতে প্রতিদিনই মানুষের কাছে হাত পাততে হচ্ছে তাকে। এমনকি টাকার অভাবে মেয়েকে শ্বশুর বাড়িও পাঠাতে পারছেন না তিনি। তার এমন কষ্টের কথা তুলে ধরে জাগো নিউজে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
জুয়েল সাহা বিকাশ/এসজে/জেআইএম