দেশজুড়ে

দ্বিতীয় বিয়ে করে জীবনটাই গেল হাফিজের

মৌলভীবাজারে দুই বিয়েকে কেন্দ্র করে হাফিজ উদ্দিন (৩৩) নামের একজনকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকলে ৩টার দিকে সদর উপজেলার পদিনাপুরে এই ঘটনাটি ঘটে।

হাফিজ উদ্দিন উপজেলার কনকপুর ইউনিয়নের পদিনা পুরের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

বিয়েকে কেন্দ্র করেই হাফিজ উদ্দিনকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, হাফিজ উদ্দিন প্রথম স্ত্রীকে তালাক না দিয়েই দ্বিতীয় বিয়ে করেন। প্রথম পক্ষের তার ১০ এবং ৬ বছরের দুটি ছেলে রয়েছে। দ্বিতীয় বিয়ে করার পর প্রথম স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে চলে যান এবং দ্বিতীয় স্ত্রীকে একই উপজেলার আথানগিরি গ্রামে তার বাবার বাড়িতেই রাখেন।

হাফিজ উদ্দিন নিজ বাড়িতে থাকতেন এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। মাঝেমাঝে যাওয়া আসা করতেন। তবে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ ছিল।

এদিকে একই এলাকায় বসবাস করায় দুই পরিবারের মধ্যে এ নিয়ে ঝামেলা বেড়ে যায়। সম্প্রতি হাফিজের বিদেশ যাওয়ার কথা ছিল। তাই দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাড়িতে নিয়ে আসার খবর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর স্বজনরা জানতে পারলে এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে।

শুক্রবার দুইপক্ষের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে। হাফিজ উদ্দিনের বাবা, ভাই এবং প্রথম স্ত্রীর মামা, মামাতো ভাই, ফুফাতো ভাই এবং হাফিজ উদ্দিন গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।

এই ঘটনায় গুরুতর আহত পাঁচজনকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান জাগো নিউজকে জানান, লাশের ময়নাতদন্ত হবে এবং এই ঘটনায় মামলাও দায়ের হবে।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে দ্বিতীয় বিয়েকে কেন্দ্র করে প্রথম পক্ষের স্ত্রীর লোকজন হত্যা করেছে বলে মনে হচ্ছে। তবে তদন্ত করে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এসআর