মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির ২১ জনের মধ্যে ১৫ জনই পদত্যাগ করেছেন। অর্থের বিনিময়ে অযোগ্য ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা ও জ্যেষ্ঠতা না মেনে কমিটি করার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন তারা।
শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার গোবিন্দল এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর আনুষ্ঠানিকভাবে ওই ১৫ জন নেতা তাদের পদত্যাগ পত্র জমা দেন।
গত ২০ ডিসেম্বর ২১ সদস্য বিশিষ্ট সিংগাইর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। ওই কমিটিতে মাহবুবুর রহমান রনিকে আহ্বায়ক ও মিল্টন হোসেনকে সদস্য সচিব করা হয়।
তবে সংবাদ সম্মেলনে ওই কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক মুন্না ও কামরুল হাসান শাকিল অভিযোগ করেন, জেলা ছাত্রদল সভাপতি রেজাউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নূরশাদ জ্যাকি এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাতিস হাসানের যোগ সাজেসে অর্থের বিনিময়ে অযোগ্য ব্যক্তিকে কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব করা হয়েছে।
তাদের অভিযোগ, রনি ও মিল্টন আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত এলাকার বাসিন্দা। দলের প্রতি তাদের কোনো অবদান নেই। অর্থের বিনিময়ে তারা কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব হয়েছেন। তাই তাদের অধীনে রাজনীতি করা সম্ভব নয় জানিয়ে ওই কমিটির ১০ জন যুগ্ম আহ্বায়ক ও পাঁচজন সদস্য একযোগে পদত্যাগ করেন।
জেল, জুলুম, হুলিয়া নিয়ে যারা এখনো ছাত্রদলের রাজনীতি করছেন তাদের দিয়ে নতুন করে সিংগাইর উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি গঠন করার আহ্বানও জানান তারা।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রদল সভাপতি রেজাউল ইসলাম বলেন, একযোগে পদত্যাগের বিষয়টি আমি জেনেছি। তবে অর্থের বিনিময়ে কমিটি দেয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তা সঠিক নয়। জেলা ছাত্রদলের নেতারা যাচাই বাছাই করেই যোগ্য ব্যক্তিদের কমিটিতে স্থান দিয়েছেন।
বি এম খোরশেদ/এমআরআর/জেআইএম