ভোলার দৌলতখানে পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বাবুল ও সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী কামালের বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে আনোয়ার হোসেন কাকনের নাম পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি করেছেন মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. ফখরুল আলম টপি। শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে স্থানীয় একটি পত্রিকা অফিসে সংবাদ সম্মেলনে লিখিতভাবে এ অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত অভিযোগে মো. ফখরুল আলম টপি বলেন, ২০০৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৪টি মামলায় তিনি কারাবরণ করেছেন। বর্তমানে দৌলতখান উপজেলার বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন। গত ২০১৫ সালে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত দৌলতখান পৌর মেয়র পথে বিএনপির মনোনয়ন না পেয়েও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। অথচ ওই নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আনোয়ার হোসেন কাকন বিপুল ভোটে পরাজিত হন এবং তার জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়।
তিনি বলেন, ‘আমি ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি দৌলতখান পৌর নির্বাচনের বিএনপির মেয়র প্রার্থী হিসেবে দলীয় ফরম সংগ্রহ করি। কিন্তু দৌলতখান পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক কারসাজি ও প্রতারণা করে আমার ফরমটি জেলা বিএনপির কার্যালয়ে জমা দেননি। তারা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আনোয়ার হোসেন কাকন ফরমটি জমা দিয়ে তাকে দলীয় মনোনয় পাইয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন।’
‘যে আনোয়ার হোসেন কাকন বিএনপির নমিনেশন পাইয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন তার স্থায়ী ঠিকানা মমনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলায়। তিনি বর্তমানে ঢাকায় থেকে ব্যবসা করেন। তার সঙ্গে স্থানীয় বিএনপির কোনো যোগাযোগ নেই।’
এ সময় দৌলতখান পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও বিভাজন সৃষ্টির দায়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দাবি জানান মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. ফখরুল আলম টপি।
এদিকে দৌলতখান পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী কামাল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘বিএনপির মনোনয়ন কোনো টাকার বিনিময়ে হয় না। নেতাকর্মীদের সমর্থন নিয়েই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আমরা আনোয়ার হোসেন কাকন ও ফখরুল আলম টপির নাম প্রস্তাব করে পাঠিয়েছি।’ তার অভিযোগ, ফখরুল আলম টপি মিথ্যাচার করছেন।
অন্যদিকে, মেয়র পদে দৌলতখান পৌর বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আনোয়ার হোসেন কাকন বলেন, তিনি দৌলতখান উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিলেন। বেশ কয়েক বছর আগে নদী ভাঙনের ফলে পৌর এলাকায় বসবাস করছেন। তার শ্বশুর বাড়ি মমনসিংহ জেলায়।
তিনি বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে দৌলতখান পৌর বিএনপির সহ-সভপতি পদে রয়েছি। দৌলতখান পৌর বিএনপির দলীয় ভূমিকা থাকায় দলীয় নেতাকর্মীরা আমাকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নের প্রস্তাব করছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দৌলতখান পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল বশির, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ মো. জামাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফিরোজ, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন, পৌর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির সহ-সভাপতি মো. নাগর মিয়াসহ প্রমুখ।
জুয়েল সাহা বিকাশ/এসআর/এমএস