দেশজুড়ে

সাভারে প্রচারণা শেষ, ভোটগ্রহণ শনিবার

দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১৬ জানুয়ারি সাভার পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল অনুযায়ী— প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণার শেষদিন ছিল আজ বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি)। এদিন গণসংযোগের পাশাপাশি মিছিল ও জনসভা করেছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

নির্বাচন কমিশনের বেধে দেয়া সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকে সব ধরনের নির্বাচনি প্রচার বন্ধ হয়ে যাবে। আগামী ১৬ জানুয়ারি সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।এদিকে প্রথমবারের মতো সাভার পৌরসভায় সবকটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। ইতোমধ্যে ভোটের সব ধরণের প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। সাভার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অস্থায়ী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে শুক্রবার নির্বাচনের সরঞ্জাম বিতরণ করা হবে। স্ব স্ব কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসাররা তাদের নির্বাচনের সরঞ্জাম গ্রহণ করে কেন্দ্রে চলে যাবেন।

নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শুক্রবার সকাল থেকেই সাভার পৌরসভায় ৬ প্লাটুন (২৪০ জন) বিজিবি মোতায়েন করা হবে। তারা ভোটের পরদিন পর্যন্ত সাভার পৌরসভায় দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ, র‌্যাব ও বিপুল সংখ্যক আনসার মোতায়েনের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকবে।

ঢাকা জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মো. মুনীর হোসাইন খান বলেন, নির্বাচনি পরিবেশ সুষ্ঠু রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে। খারাপ কোনো প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।

নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র হাজী আব্দুল গনি, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাবেক মেয়র আলহাজ্ব রেফাত উল্লাহ ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হিসেবে আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৪৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪০ জন ও পৌরসভার ৩টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৯ জন প্রার্থী ভোটে লড়ছেন।

সাভার পৌরসভার ৮৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। পৌর এলাকায় মোট ভোটার এক লাখ ৮৮ হাজার ৮৮ জন।

আল-মামুন/এএএইচ/জিকেএস