খুলনার রূপসা উপজেলার মহিদুল হত্যায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেফতার ইমাম হোসেন। রোববার (১৭ জানুয়ারি) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বিশ্বাসের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। ইমাম হোসেন উপজেলার (২০) আনন্দনগর গ্রামের নজরুল মোল্লার ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় পুটিমারী বিলের ৩১ শতক জমি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কয়েকবার শালিসের মাধ্যমে মীমাংসাও করে দেন। এক পর্যায়ে শনিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে রূপসার ঘাটভোগ ইউনিয়নের আনন্দনগর গ্রামের হাইস্কুলের পাশে ওই জমি নিয়ে মহিদুল মোল্লা ও তার চাচাতো ভাই মাসিকুল মোল্লার মধ্যে কথা কাটাকাটি ও বাগবিতণ্ডা হয়। পরে মাসিকুল মোল্লা কুড়াল দিয়ে মহিদুল মোল্লার ঘাড়ে কোপ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই ঢলে পড়েন মহিদুল। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মহিদুল মোল্লার মৃত্যু হয়।
নিহত মহিদুল মোল্লা ওই গ্রামের মো. ছহির উদ্দিন মোল্লার ছেলে। এ ঘটনায় ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. বাচ্চু মোল্লা বাদী হয়ে শনিবার রাতে পাঁচজনকে আসামি করে রূপসা থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ ইমাম হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আনন্দনগর গ্রামের মিজান মোল্লার ছেলে মাসিকুল মোল্লা(২৫), মৃত নূরুল হক মোল্লার ছেলে মিজান মোল্লা (৫০) ও নজরুল মোল্লা (৫৭), নজরুল মোল্লার ছেলে বায়জিদ মোল্লা (২৪)।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই বাবলা দাস বলেন, ‘মামলার তিন নম্বর আসামি ইমাম পুলিশের জিজ্ঞেসাবাদে হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা জানালে আজ তাকে আদালতে নেয়া হয়। সেখানে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বিশ্বাসের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। মামলার বাকী আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
আলমগীর হান্নান/ইএ/জেআইএম