সম্মুখসারির পর ৫৫ বছরের অধিক বয়সী মানুষ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পাবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন বিষয়ক এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ধাপে ধাপে কম বয়সীদের ভ্যাকসিন দেয়া হবে। দেশে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার।
জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার তিন কোটি ভ্যাকসিনের টাকা অলরেডি দিয়েছেন। ২০ লাখ ভ্যাকসিন ভারত সরকার বাংলাদেশের মানুষকে উপহার দিয়েছে। এই মুহুর্তে দেশে ৭০ লাখ ভ্যাকসিন আছে। ডাব্লিউএইচও’র করোনা ভ্যাকসিনের জন্যও বুকিং দেয়া হয়েছে। সেখানে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি ভ্যাকসিন চাওয়া হয়েছে। তারা এটা আমাদের দেবে বলে সম্মতি দিয়েছেন। সাড়ে ৫ কোটি লোককে ভ্যাকসিন দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ হয়েছে। আরও দরকার হলে পরিমাণ বাড়ানো হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, দেশে আনা ভ্যাকসিন সুষ্ঠুভাবে দেয়া এবং বিতরণ করাই এখন বড় বিষয়। নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে তার আলোকেই ভ্যাকসিন দেয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করছেন। তবে সমালোচনা করে একজন মানুষকে যদি ভ্যাকসিন থেকে বিমুখ করা হয়, তাহলে তার প্রাণহানিও ঘটতে পারে। মানুষের ক্ষতি হয় এমন সমালোচনা করা ঠিক নয়।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত দেশে আসা ভ্যাকসিনই সবচেয়ে নিরাপদ। সব ওষুধ ও ভ্যাকসিনেরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। তাই বলে কেউ কি ওষুধ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন? কাজেই করোনা ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এটা আমি বলবো না। কিছু হতেই পারে।
প্রতি বছর কোটি কোটি ছেলেমেয়েকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়। ভ্যাকসিন নিলে কি হতে পারে হয়তো জ্বর হতে পারে কিংবা মাথা ব্যথা হতে পরে। অথবা ভ্যাকসিন দেয়ার জায়গাটা একটু ফুলে যেতে পারে। এ পর্যন্ত যতগুলো লোককে করোনার ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে তাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি এবং সবাই ভালো আছেন।
করোনা ভ্যাকসিনের কাযর্কারিতা কতদিন থাকবে? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বিষয়টি কারও জানা নেই। কারণ এই টিকাটি খুব তাড়াতাড়ি তৈরি করা হয়েছে। এই টিকা পরীক্ষামূলকভাবে দেখার জন্য যে সময় লাগে তা বিশ্ববাসী দিতে পারেনি। ভ্যাকসিন সম্পর্কে সবকিছু বলার মতো সময় তারা পায়নি। এটা জানতে ৭ থেকে ৮ বছর সময় লাগে। ১২ সপ্তাহের মধ্যে দুটি ডোজ নিতে হবে এ বিষয়টি জানা গেছে। অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট গেলাম মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধ মো. আব্দুস সালাম, সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আকন্দ, প্রেস ক্লাব সভাপতি গোলাম ছারোয়ার ছানু, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব চক্রবর্তী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বি.এম খোরশেদ/আরএইচ/এএসএম/এমএস