দেশজুড়ে

মেয়রপ্রার্থী নিখোঁজের প্রতিবাদে থানা ঘেরাও-সংঘর্ষ, আহত-২০

মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মশিউর রহমান সবুজ নিখোঁজ হয়েছেন। প্রার্থী নিখোঁজের খবরের পরই বিক্ষোভ নিয়ে কালকিনি থানা ঘেরাও করে তার সমর্থকরা। এসময় নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর স্বজন ও সমর্থকরা জানায়, শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কালকিনি পৌর এলাকার পালপাড়ায় নির্বাচনী প্রচারণা চালান স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিউর রহমান সবুজ। এ সময় তার মোবাইলে একটি কল আসে। তাৎক্ষণিক সেখানে কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন মৃধা গাড়ি নিয়ে হাজির হন। পরে সেখান থেকে তিনি সবুজকে পুলিশের গাড়িতে নিয়ে যান। এর পর পরই নিখোঁজ হয় সবুজ। প্রতিবাদে বিক্ষোভ নিয়ে কালকিনি থানা ঘেরাও করে সবুজের সমর্থকরা। টায়ার জ্বালিয়ে স্লোগান দেন বিক্ষুব্ধরা। এ সময় কালকিনি-ভুরঘাটা ও কালকিনি-মাদারীপুর আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

থানার সামনে সবুজকে মুক্ত করার বিক্ষোভে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় নৌকার সমর্থকরা। ফলে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আহত হয় অন্তত ২০ জন। ভাংচুর করা হয় বেশকিছু দোকানপাট। তবে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ভূমিকা ছিল রহস্যজনক। সবুজকে তুলে নিয়ে যাবার বিষয়ে অস্বীকার করেছে পুলিশ।

অপরদিকে মুঠোফোনে সন্ধ্যায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিউর রহমান সবুজ নিচু কণ্ঠে কোনো রকমে বলেন, আমি ক্যামেলিয়া ফেরির ভিআইপি কেবিনে পুলিশ সুপারের সঙ্গেই ছিলাম। ফেরি শিমুলিয়া ঘাটে ভিড়লে কেবিন থেকে নামিয়ে পুলিশ সুপারের গাড়ির ডান দিক দিয়ে উঠানো হয়। আমি এখনও পুলিশ সুপারের সঙ্গেই আছি।

কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দিন মৃধা বলেন, সবুজ নিজে তার ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় যাবেন। আমি মাদারীপুরে যাচ্ছিলাম তাই তিনি আমার গাড়িতে চড়ে মাদারীপুর গেছেন। এরপর তিনি কোথায় তা জানি না।

মাদারীপুর পুলিশ সুপার মো. মাহবুব হাসান তার সঙ্গে ভিআইপি কেবিনে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে গণমাধ্যম কর্মীদের নিরুৎসাহিত করেন। ওই ব্যক্তি প্রার্থী কি-না জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। 

এক প্রশ্নে পুলিশ সুপার বলেন, এটি সংবাদ করার মতো বিষয় নয়। প্রার্থী তো কোনো অভিযোগ করেননি। তার পরিবারেরও কোনো অভিযোগ নেই। এ সময় প্রার্থীকে সামনে আনার কথা বললে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন।

এ কে এম নাসিরুল হক/এএইচ/জিকেএস