দেশজুড়ে

পুলিশের খাঁচায় ২০ মামলার আসামি

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পুলিশের হাতে ২০ মামলার আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী সারোয়ার (৩৫) গ্রেফতার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শ্রীমঙ্গল উপজেলার কাকিয়াবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতার সারোয়ার উপজেলার সিরাজনগর গ্রামের আসাদুজ্জামানের ছেলে বলে জানা গেছে।

শ্রীমঙ্গল থানা সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি জেলার জুড়ী উপজেলার মনতইল গ্রামের মৃত আবু তাহেরের পুত্র খন্দকার আবুল মঈন গুফরান তারেকের (৪৫) মালিকানাধীন একটি বাগানে আগুন ধরিয়ে দেন সারোয়ার। এতে তার বাগানের শতাধিক গাছ পুড়ে যায় এবং তার ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় তারেককে ভীতি প্রদর্শন করেন সারোয়ার। এ অভিযোগ এনে সারোয়ারসহ আরও তিনজনকে আসামি করে গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তারেক। এই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার প্রধান আসামি সারোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার সারোয়ারের বিরুদ্ধে শ্রীমঙ্গল থানায় অস্ত্র, মাদক, বনের গাছ চুরিসহ সন্ত্রাসীর অভিযোগে ২০টির বেশি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

২০০৫ সালে উপজেলার কাকিয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিতোষ পালকে কুপিয়ে হাত-পা কেটে নেয়া এবং ২০১২ সালে এক সাংবাদিককে দা দিয়ে কোপানোর অভিযোগ রয়েছে সারোয়ারের বিরুদ্ধে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকার মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে ওয়ান-ইলেভেনের সময়ে সেনাবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ আটক হন শীর্ষ সন্ত্রাসী সারোয়ার।

মামলার বাদী তারেক জানান, উপজেলার সোনাছড়া-জাগছড়া চা বাগান সংলগ্ন ১৫৮ একর জমির ওপর ‘ফিডার বাবুর বাগান’ নামে তাদের একটি পৈত্রিক বাগান রয়েছে। বাগানে প্রায় কয়েকশ প্রজাতির কয়েক হাজার ফলদ, বনজ ওষুধি গাছ সৃজন করা ছিল। এসব গাছের বয়স প্রায় ৪০ থেকে ৬০ বছর।

উল্লেখ্য, শ্রীমঙ্গলের শীর্ষ সন্ত্রাসী সারোয়ার ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কায়দায় এসব মূলব্যবান গাছ কেটে চুরি করে নিচ্ছিলেন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি ত্রাস সৃষ্টি করে বাগান দখল করতে আগুন ধরিয়ে দেন তারা।

শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুছ ছালেক বলেন, সারোয়ারকে গ্রেফতারের পাশাপাশি বাকি আসামিদের গেফতারের চেষ্টা চলছে।

এসআর/জেআইএম