মরণোত্তর পুরস্কার তিরস্কারস্বরূপ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন।
তিনি বলেন, অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন আপনি কীভাবে এত লেখেন। আমি ছোট্ট এই জীবনে কী লিখে যেতে পেরেছি জানি না। তবে যা লিখেছি ক্রোধ থেকে লিখেছি, কোনো কিছু অর্জনের জন্য নয়। আমাদের সময়টি ছিল ক্রোধের, দ্রোহের, যন্ত্রণার, প্রেমের।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘বাংলাভাষার ইতিহাস চর্চা, মুনতাসীর মামুনের বিচিত্র ভুবন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুনতাসীর মামুন বলেন, এই কঠিন সময়ে ভালোবাসার বড্ড অভাব। আমি সবার অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। মানুষের হাত ধরতে হবে। মানুষের হাত ধরে রাখলে মানুষ তোমার হাতটি ধরে রাখবে। মরণোত্তর পুরস্কার তিরস্কারস্বরূপ। আমি অনেক ভাগ্যবান, কারণ আমি জীবিত অবস্থায় আজ এমন সম্মাননা পেয়েছি।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে তার জীবন ও কর্ম নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন বকুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন হেরিটেজ আর্কাইভসের প্রতিষ্ঠাতা ড. মাহাবুবর রহমান, বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সাধারণ সম্পাদক ড. চৌধুরী শহীদ কাদের, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।
রাবি উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা ও অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম, প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক লুৎফর রহমান, জনসংযোগ প্রশাসক ড. আজিজুর রহমানসহ সারাদেশ থেকে আগত ইতিহাসবিদ, মুক্তিযোদ্ধা এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা।
দ্বিতীয় পর্বে বরেণ্য এই শিক্ষাবিদের অবদান, গবেষণা ও ইতিহাস চর্চাবিষয়ক ১২টি প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়। সবশেষে মুখোমুখি প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে দিনব্যাপী সেমিনারের সমাপনী ঘোষণা করা হয়।
সালমান শাকিল/এসজে/এএসএম