খেলাধুলা

এমন পিচে বল করলে কুম্বলে হাজার উইকেট পেতেন, যুবির কণ্ঠে কটাক্ষ

পাঁচদিনের টেস্টে ভারত প্রায় দেড়দিনেই হারিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ডকে। ঘরের মাঠে এমন পারফরম্যান্সে প্রশংসার বানে ভাসার কথা বিরাট কোহলিদের। কিন্তু জয়টা যেভাবে এসেছে, তাতে ভারতের পারফরম্যান্সের চেয়ে পিচের পারফরম্যান্স নিয়েই বেশি আলোচনা হচ্ছে।

পিচের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ ভারতের সাবেক তারকা অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং। দারুণ জয়ে দলকে অভিনন্দন জানাতে গিয়েও কিছুটা কটাক্ষের সুর তার কণ্ঠে। দুইদিনে টেস্ট শেষ হয়ে যাওয়া ক্রিকেটের জন্য কতটা ভালো উদাহরণ, সেই প্রশ্নও তুলেছেন যুবি।

আহমেদাবাদের মোতেরায় ব্যাটসম্যানদের রীতিমত নাকানি চুবানি খাইয়েছেন স্পিনাররা। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড মাত্র ১১২ রানেই গুটিয়ে যায়। ভারতের কিছু বলার সুযোগ ছিল, যদি না তারাও ১৪৫ রানে গুটিয়ে যেতো।

জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে আরও খারাপ দশা হয় ইংল্যান্ডের। ভারতীয় স্পিনারদের ঘূর্ণির সামনে তারা অলআউট হয় ৮১ রানেই। ১০ উইকেটে ম্যাচটি জিতেছে স্বাগতিকরা।

ইংল্যান্ডের দুই ইনিংসে ২০ উইকেটের মধ্যে ১৯টিই নিয়েছেন ভারতীয় স্পিনাররা। ভারতও যে ইনিংসে অলআউট হয়েছে, তাতে ৯ উইকেট নেন ইংল্যান্ডের দুই স্পিনার। এর মধ্যে পার্টটাইম অফস্পিনার জো রুটও নেন ৫ উইকেট।

বোঝাই যাচ্ছে, পিচ কতটা স্পিন সহায়ক ছিল। যদিও ম্যাচের পর ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট কিংবা ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি-কেউই পিচের সমালোচনা করেননি।

তবে মুখ খুলেছেন খোদ ভারতেরই সাবেক ক্রিকেটার যুবরাজ। তার দাবি, যদি এ ধরনের পিচে বল করার সুযোগ পেতেন অনিল কুম্বলে, হরভজন সিংরা; তবে তারা নিশ্চিতভাবেই টেস্ট ক্যারিয়ারে অনেক বেশি উইকেটের মালিক হতেন।

আহমেদাবাদে ভারতের জয়ের পর যুবরাজ টুইট করেন, ‘দুদিনে ম্যাচ শেষ হওয়া টেস্ট ক্রিকেটের পক্ষে ভালো উদাহরণ কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চিত নই। যদি অনিল কুম্বলে ও হরভজন সিং এ ধরনের পিচে বল করতো, তবে ওদের ঝুলিতে হাজারটা ও ৮০০ উইকেট থাকতো না? যাই হোক, অভিনন্দন ভারতকে। অক্ষর প্যাটেলের কী অসাধারণ স্পেল ছিল! অভিনন্দন অশ্বিন ও ইশান্তকেও।’

এমএমআর/এএসএম