ইবরাহিম খলিল
Advertisement
প্রত্যেক মা-বাবাই তার সন্তানের ভালো চায়। আর আমি-আপনি অবশ্যই চাই যে, আমার-আপনার ছেলে-মেয়ে বড় হয়ে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে, দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসবে। তাই সন্তানের উত্তম চরিত্র গঠনের পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করতে হবে মাকে। তারপর বাবার। মা-বাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রতিটি সন্তান হবে আদর্শ চরিত্রবান।
বর্তমান আধুনিকতার যুগে অশ্লীলতা ও পাপাচার বেড়ে যাচ্ছে। এ অশ্লীলতায় অনায়েশে যে কেউ জড়িয়ে যেতে পারে। সে কারণে সবকিছুর আগে সন্তানের গতিবিধি ও নীতি-নৈতিকতার দিকে নজর দিতে হয়।
সন্তান কার সাথে কথা বলছে? কাকে সঙ্গ দিচ্ছে? কাকে বন্ধু হিসেবে গ্রহন করছে? কার সঙ্গে সময় দিচ্ছে? অভিভাবক হিসেবে এই বিষয়গুলো মাকেই বেশি তদারকি করতে হয়; খোঁজ-খবর নিতে হয়। কারণ সন্তানের সঙ্গে মায়ের সখ্যতাই সাধারণত বেশি থাকে। মা সবকাজে বাবার সহযোগিতা নেবে।
Advertisement
অনেক সময় বয়স কম হওয়ার কারনে অজ্ঞতাবশতঃ ছেলে-মেয়ে ভুল করতে পারে। তখন তাদের প্রতি রাগ না করে তাদেরকে বুঝাতে হবে। কোন কাজ সঠিক এবং কোন কাজ সঠিক নয়; সে সবের ধারণা দিতে হবে। এবং এই ভুলের ক্ষতির দিকটিও সন্তানের সামনে তুলে ধরা আবশ্যক।
বর্তমানে প্রায় সবার হাতেই র্স্মাট ফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে। অনিয়ন্ত্রিত এসব ডিভাইসের ব্যবহার অনেক ছেলে-মেয়েকে অনিরাপদ জীবনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। মা-বাবার সঠিক তদারকি থাকলে, আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার মনোভাব থাকলে কেবল তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সে কারণে সন্তানের পাশাপাশি মা-বাবাকেও আল্লাহর কাছে প্রতিটি কাজের জবাবদিহিতার ভয় থাকতে হবে।
তাই সন্তানের অভিভাবক মা-বাবার উচিত, নিজেকে এবং নিজের সন্তানকে একজন খাটি মুসলিম হিসেবে তৈরি করা। একজন ভালো মানুষ হিসবে তৈরি করা। যাদের মধ্যে থাকবে সবসময় ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা। অপরকে উপকার করার মন-মানসিকতা। সন্তানের প্রতি সঠিক তদারকি করা। আর তাতেই সন্তান হবে উত্তম আদর্শ ও চরিত্রবান।
প্রত্যেক দায়িত্বশীল মা-বাবাকে মনে রাখতে হবে, নিজেদের অবহেলার কারণে কোনো সন্তান যদি বিপথে চলে যায়, তবে সেসব অপরাধের জন্য আল্লাহর কাছে সবার আগে তাদেরকেই জবাবদিহি করতে হবে।
Advertisement
আল্লাহ তাআলা সব মা-বাবাকে সন্তানের প্রতি যথাযথ দায়িত্ব পালন করার তাওফিক দান করুন। সন্তানকে আদশ চরিত্রবান হিসেবে গড়ে তোলার তাওফিক দান করুন। আমিন।
লেখক : শিক্ষার্থী, ইসলামি শিক্ষা বিভাগ, ঢাকা কলেজ।
এমএমএস/জিকেএস