দেশজুড়ে

চা পাতার সঙ্গে অন্যান্য গাছের পাতা মিশিয়ে নকল গ্রিন টি!

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চা গাছের পাতার সঙ্গে অন্যান্য গাছের পাতা মিশিয়ে নকল গ্রিন টি বাজারজাত করা হচ্ছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন বাড়ি থেকে ৮৬ বস্তা নকল চা পাতা উদ্ধার করেছে।

বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে জেলা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, অভিনব কায়দায় এসব নকল গ্রিন টি তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছে। এজন্য প্রথমে সংগ্রহ করা হয় অন্যান্য গাছের পাতা। পরে সেগুলো শুকিয়ে গুঁড়ো করা হয়। এরপর কেমিক্যাল মিশিয়ে চা পাতার সঙ্গে ঢেঁকিতে আবার গুঁড়ো করা হয়। এভাবে অভিনব কায়দায় নকল গ্রিন টি তৈরি করা হচ্ছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের সিন্ধুরখান ইউনিয়নের সিক্কা গ্রামে।

মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে শ্রীমঙ্গলের তিনটি বাড়িতে নকল চা পাতা জব্দ করা হয়েছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সেই চা পাতা উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় আব্দুর রহিম মিয়ার বসতঘর তল্লাশি করে ৪০ বস্তা, নুর মিয়ার বসতঘর তল্লাশি করে ৩৫ বস্তা গ্রিন টি’র গুঁড়ামিশ্রিত চা পাতা ও আব্দুল মজিদ মিয়া বসতঘর তল্লাশি করে ১২ বস্তা বালুমিশ্রিত ডাস্ট এবং সিডার মাধ্যমে তৈরিকৃত চা পাতা পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল টি ব্রোকারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল মিয়া বলেন, ‘বর্তমানে কৃষি বিভাগের মধ্যে চা শিল্প সরকারকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব দিচ্ছে। বাজারে যদি এভাবে নকল চা পাতার ছড়াছড়ি হয় তাহলে এই শিল্প দিন দিন ধ্বংস হয়ে যাবে। অবৈধ পন্থায় এসব চা পাতা উৎপাদন হলে সরকার রাজস্ব হারাবে। পাশাপাশি মানুষও প্রতারণার শিকার হবেন।’

এসআর/জিকেএস