‘বঙ্গবন্ধুর স্মরণশক্তি অত্যন্ত প্রখর ছিল। তিনি জাদুকরী নেতা ছিলেন। অনেক দয়ালু মানুষ ছিলেন। মানুষের অভাব-অনটনে ছুটে গিয়ে পাশে দাঁড়াতেন। তার মতো এমন সংগঠক আর কাউকে দেখিনি। আমি তার অনেক স্নেহ-ভালোবাসা পেয়েছি। তার মতো পরম আন্তরিকতার লোকও আমি আর দেখিনি।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে জাগো নিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় কথাগুলো বলছিলেন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার ঐতিহ্যবাহী শেখ পরিবারের সদস্য শেখ বোরহান উদ্দিন। খুব কাছ থেকে বঙ্গবন্ধুকে দেখার সুযোগ হয়েছে তার।
বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পাওয়ার স্মৃতিচারণ করে শেখ বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হৃদয় দিয়ে কৃষক-শ্রমিকদের ভালোবাসতেন। অভাবী মানুষের পাশে দাঁড়াতেন। তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করার চেষ্টা করতেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই গরিবের অভাব-কষ্ট দূর করার স্বপ্ন দেখতেন।’
শেখ পরিবারের এই সদস্য বলেন, ‘আমি শেখ কামাল-জামালের (বঙ্গবন্ধুর দুই ছেলে) সঙ্গে টুঙ্গিপাড়ায় ও ধানমন্ডি ৩২-এ খেলাধুলা করেছি। (বঙ্গবন্ধু) বেগম মুজিবকে বলতেন, তোমার ভাই এসেছে। ভালো ভালো খেতে দাও।’
টুঙ্গিপাড়ার ঐতিহ্যবাহী শেখ পরিবারের সদস্য শেখ বোরহান উদ্দিন
‘আমি বঙ্গবন্ধুর দিকে চেয়ে চেয়ে দেখতাম। আহ, কী আকর্ষণ তার মুখে। সবাই তার জন্য পাগল ছিলেন। যে বঙ্গবন্ধুর স্পর্শ একবার পেয়েছে সে কোনোদিনই তাকে ভুলতে পারবে না।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘মুজিব ভাই’ আর তার সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেসাকে ‘রেনু বুজি’ বলে ডাকতেন শেখ বোরহান উদ্দিন।
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘রেনু বুজির অনেক অবদান। বঙ্গবন্ধু জেলে থাকতেন রাজনীতির জন্য। এখানে-ওখানে ঘুরে বেড়াতেন। রেনু বুজি সব নিজের কাঁধে তুলে নিতেন। তিনি মহিয়সী নারী। রেনু বুজি না থাকলে তিনি বঙ্গবন্ধু হতে পারতেন না। আমি বঙ্গবন্ধুর জন্য দোয়া করি।’
এসআর/এইচএ/এমকেএইচ